এ বিদায় কষ্টের!
৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮‘এ' গ্রুপের শেষ ম্যাচে হোম গ্রাউন্ডে বাংলাদেশই ছিল ফেবারিট৷ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরুটাও সেভাবেই করেছিল তারা৷ টুর্মামেন্টে প্রথম দুই জয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসীই দেখাচ্ছিল মামুনুল-জামাল ভূঁইয়াদের৷ মাঝমাঠের দখল বেশিরভাগই ছিল স্বাগতিকদের কাছে৷ যদিও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি হয়নি নেপালের রক্ষণভাগের দৃঢ়তার কারণে৷
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে ৩৩ মিনিটে কী হয়ে গেল৷ একটি সহজ বল আটকাতে পারলেন না গোলরক্ষক শহীদুল৷ তাঁর হাত গলে বলটি খুঁজে নিল বাংলাদেশের জাল৷ অথচ বলটি সোজাই আসছিল তাঁর হাতে! ফ্রি কিক থেকে গোল পেল নেপাল৷ ডান দিক থেকে শটটি নিয়েছিলেন বিমল মাগার৷
এরপর যেন ছন্দই খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ল বাংলাদেশের৷ আক্রমণভাগে ফিনিশারের অভাব পরিষ্কারভাবে চোখেও পড়ল৷ তার ওপর নেপালের ছিল রক্ষণভাগের অপ্রতিরোধ্য দেয়াল৷
১-০ তে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে লালসবুজ দল৷ দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই কোচ নতুন তিন খেলোয়াড় পাঠান মাঠে৷ কিন্তু মরিয়া হয়ে খেলেও কোনো কাজ হয়নি৷ বরং পাল্টা আক্রমণে বারবারই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল নেপাল৷
দু'একবার তো প্রায় গোল খেয়েই ফেলেছিল স্বাগতিকরা৷ কিন্তু প্রতিপক্ষ ফরোয়ার্ডদের ভুল কিংবা অফসাইডের কল্যাণে ব্যবধান বাড়েনি৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি৷ নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ে নেপালের খেলোয়াড় সুনীলের বাড়ানো একটি বল চমৎকার প্লেসিংয়ে বাংলাদেশের জাল ভেদ করেন সতীর্থ নবযুগ৷ ২-০ গোলের জয়ে উৎফুল্ল নেপাল ‘ল্যাপ অফ অনার' দিল৷ খেলোয়াড়রা মাঠ ছাড়লেন ফুরফুরে মেজাজে৷ অন্যদিকে, কানায় কানায় পরিপূর্ণ গ্যালারিতে নেমে এল হতাশার ছায়া৷এদিকে, ‘এ' গ্রুপের অন্য ম্যাচে পাকিস্তান ৩-০ গোলে হারিয়েছে ভুটানকে৷ তাই তিন খেলায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালের সমান ৬ পয়েন্ট করে থাকলেও গোল ব্যবধানে পাকিস্তান ও নেপাল নিশ্চিত করলো সেমিফাইনাল৷