1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ বার জার্মানিতে হাঁটু দিয়ে ঘাড় চাপলো পুলিশ

১৭ আগস্ট ২০২০

অ্যামেরিকার ঘটনার পুনরাবৃত্তি জার্মানিতে। ডুসেলডর্ফে হাঁটু দিয়ে এক ব্যক্তির ঘাড় চেপে ধরল পুলিশ। শুরু হয়েছে প্রতিবাদ।

https://p.dw.com/p/3h3fK
ছবি: picture-alliance/HMB Media/H. Becker

জর্জ ফ্লয়েডের ছায়া এ বার জার্মানিতে। ডুসেলডর্ফের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক পুলিশ অফিসার এক ব্যক্তির ঘাড় হাঁটু দিয়ে চেপে রেখেছেন। অ্যামেরিকার মিনেসোটায় ঠিক এ ভাবেই জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড় চেপে রেখেছিল পুলিশ। মৃত্যু হয়েছিল ফ্লয়েডের। যার জেরে গোটা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছিল।

ডুসেলডর্ফের ঘটনায় প্রতিবাদ শুরু হয়েছে জার্মানিতেও। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিষয়টিকে মোটেই হালকা ভাবে নেওয়া হচ্ছে না। কেন ওই অফিসার এমন কাজ করলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অন্য থানাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই অফিসার দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত রোববার বিকেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওল্ড টাউনের একটি রেস্তোরাঁ থেকে ফোন যায় তাদের কাছে। সেখানে কিছু ব্যক্তি দোকানের বাইরে ঝামেলা করছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সেখানে পৌঁছনোর পরে ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক ব্যক্তি আচমকাই পুলিশের কাজে বাধা দিতে শুরু করেন। যদিও তাঁর সঙ্গে পুলিশের কোনও কথা কাটাকাটি হয়নি। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায়, ওই ব্যক্তিকে প্রথমে সতর্ক করে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও একই কাজ করায় ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় পাঠানো হয়। আটক করার সময়েই তাঁকে মাটিতে ফেলে ঘাড়ে হাঁটু তুলে দেন এক পুলিশ অফিসার।

এই ঘটনার সাক্ষী বহু মানুষ। অনেকেই ভিডিও তুলেছেন। ১৫ মিনিটের একটি ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনার মতোই এক পুলিশ অফিসার ওই ব্যক্তির ঘাড় হাঁটু দিয়ে চেপে রেখেছেন। আশপাশ থেকে অনেকেই চেঁচিয়ে তাঁকে হাঁটু সরানোর আবেদন জানাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ অফিসার কারও কথা শুনছেন না।

জর্জ ফ্লয়েড ঠিক এ ভাবেই মারা গিয়েছিলেন। তাঁকে আট মিনিট এ ভাবে চেপে রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পরে শুধু অ্যামেরিকা নয়, ইউরোপের প্রবল বিক্ষোভ হয়। ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স আন্দোলন ঘিরে কিছু দিন আগেও উত্তাল হয়েছে জার্মানি। অনেকেরই দাবি, জার্মান পুলিশও বিভিন্ন সময়ে বর্ণবাদী আচরণ করে। অনেকেরই ধারণা, রোববারের ঘটনার পরে নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে। তবে রোববারের ঘটনা নিয়ে প্রশাসন অত্যন্ত সজাগ। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

এসজি/জিএইচ (ডিপিএ)