1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উষ্ণ জলে ক্ষয়ে যাচ্ছে অ্যান্টার্কটিকার থোয়াইটেস হিমবাহ

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

এই হিমবাহকে ‘কেয়ামতের হিমবাহ' বলেও ডাকা হয়৷ এই হিমবাহ পুরোপুরি গলে গেলে বিশ্বজুড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আধা মিটারের বেশি বেড়ে যেতে পারে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভালো-খারাপ দুই রকম খবরই রয়েছে তাদের কাছে৷

https://p.dw.com/p/4NbeA
Thwaites-Gletscher 2020
ছবি: David Vaughan/AP Photo/picture alliance

বুধবার নেচার জার্নালে প্রকাশিত দুটি গবেষণাপত্রে দেখা গেছে, অ্যান্টার্কটিকার দৈত্যাকার থোয়াইটস হিমবাহের দুর্বল অংশগুলোতে উষ্ণ জল প্রবেশ করছে৷ পাশাপাশি ক্রমশ বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এি হিমবাহের গলে যাওয়াকে ত্বরান্বিত করছে৷

থোয়াইটস গ্লেসিয়ার যদি এটি গলে যায় তবে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আধা মিটার (১.৬ ফুট) বাড়তে পারে৷ তবে এই হিমবাহ গলতে কয়েকশ বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ এই হিমবাহ গলে গেলে তা আশেপাশের অন্য হিমবাহগুলোকেও অস্থিতিশীল করে তুলবে৷ সেগুলো গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আরও তিন মিটার বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে৷

গবেষণা কী বলছে?

২০১৯ এবং ২০২০ সালে প্রায় ছয় সপ্তাহের মতো এই হিমবাহে অবস্থান করে গবেষণা চালিয়েছে ১৩ জন মার্কিন এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানীর একটি দল৷ আইসফিন নামে পরিচিত জলের নীচে চলাচলে সক্ষম রোবটযানের মাধ্যমে তারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন৷ এই প্রথমবারের মতো হিমবাহের বরফ গলে যেখানে সমুদ্রে মিশছে, সে স্থানের তথ্য বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে৷

বিশ্বের হিমবাহগুলো সম্পর্কে আরো বেশি ধারণা পাওয়ার জন্য চালানো এই গবেষণার প্রকল্পটি বেশ ব্যয়বহুল৷ এর পেছনে খরচ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি সাত লাখ ইউরো (প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা)৷

পেন্সিল-আকৃতির এই রোবট বিজ্ঞানীদের তথ্যানুসন্ধানে সহায়তা করেছে
পেন্সিল-আকৃতির এই রোবট বিজ্ঞানীদের তথ্যানুসন্ধানে সহায়তা করেছেছবি: Becka Bower/Cornell University/Handout via REUTERS

এর আগে থোয়াইট হিমবাহের গভীরের এই অংশ নিয়ে কোনো তথ্য ছিল না বিজ্ঞানীদের কাছে৷ তবে আইসফিনের বদৌলতে এবারই প্রথম ৫৮৭ মিটার গভীরের চিত্র পাওয়ার ফলে হিমবাহের চিড় কতোটা ভয়াবহ, সে ধারণা পাওয়া গেল৷

কর্নওয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ব্রিটনি শ্মিডট একটি গবেষণাপত্রে লিখেছেন, এসব চিড়ে উষ্ম জল জমা হয়ে হিমবাহ গলে যাওয়াতে ত্বরান্বিত করে তুলছে৷ প্রিত বছর ৩০ মিটার করে বরফ গলছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷

শ্মিডট ব্যাখ্যা করেছেন, ‘‘উষ্ণ জল হিমবাহের সবচেয়ে দুর্বল অংশগুলোতে প্রবেশ করছে এবং পরিস্থিতিকে আরো খারাপ করে তুলছে৷ এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের সবার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত৷''

শ্মিডট আরেকটা গবেষণাপত্র নিয়ে কাজ করছেন৷ সেটিতে জানানো হয়েছে, হিমবাহটির বরফ যেখানে সমুদ্রে মিশেছে, সেখানকার বরফ বছরে পাঁচ মিটার করে গলে যাচ্ছে৷ আগে যা ধারণা করা হয়েছিল, তার চেয়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো৷

তবে এ নিয়েও সতর্ক করেছেন শ্মিডট৷ তার মতে, ‘‘বরফ গলার হার কমার মানে এই না যে তা থেমে যাচ্ছে৷''

এডিকে/এসিবি (এপি, রয়টার্স)