1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবে না রাজ্য সরকার: হাইকোর্ট

১৪ মার্চ ২০২৩

কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আদালত জানালো, উপাচার্যদের নিয়োগ করতে পারে না রাজ্য।

https://p.dw.com/p/4OdbB
ছবি: Subrata Goswami/DW

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের নিয়োগ বা পুনর্নিয়োগ করার কোনও ক্ষমতা রাজ্য সরকারের নেই। একমাত্র আচার্য এই নিয়োগ করতে পারেন। আর রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হলেন রাজ্যপাল। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

হাইকোর্ট এই নির্দেশও দিয়েছে যে, রাজ্য সরকার যে উপাচার্যদের নিয়োগ করেছিল, সেই পদ খারিজ করা হলো। তার মানে, এই উপাচার্যদের ইস্তফা দিতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে সামান্য একটা জটিলতা আছে। সেটা হলো, সম্প্রতি উপাচার্যদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বর্তমান রাজ্যপাল আনন্দ বোসের কাছে গেছিলেন। রাজ্যপাল এই উপাচার্যদের পদের মেয়াদ তিনমাস বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। যেহেতু এটা আচার্য রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত, তাই এটা বলবৎ হওয়া উচিত।

তবে এই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যপাল তো পাকাপাকিভাবে এই উপাচার্যদের মেয়াদ বাড়াননি। তিনি তিনমাসের জন্য একটা ব্যবস্থা করেছিলেন। তাই এক্ষেত্রে হাইকোর্টের রায় বলবৎ হবে। উপাচার্যদের পদত্যাগ করতে হবে। তবে সরকারের তরফে রায় বিস্তারিতভাবে না দেখে কোনো মন্তব্য করতে চায় না শিক্ষা দপ্তর।

২০২১ সালে সেই সময়ের রাজ্যপাল ও বর্তমানে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় অভিযোগ করেছিলেন,  রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। তারপর হাইকোর্টে অনুপম বেরা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।

সাবেক রাজ্যপাল ধনখড়ের সঙ্গে বিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে বাদ দিয়ে উপাচার্য নিয়োগের উদ্যোগী হন। এমনকী রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন।

হাইকোর্টের রায়ে, রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা বড় ধাক্কা খেল।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, টিভি৯)