1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর প্রদেশ যেতে গিয়ে আটক রাহুল, প্রিয়ঙ্কা

১ অক্টোবর ২০২০

আটক করা হলো রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে। হাথরাসের দলিত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই পরিবারের ধর্ষিতার মৃত্যু হয়েছে দুই দিন আগে।

https://p.dw.com/p/3jH8A

হাথরাসে দলিত পরিবারের কাছে যেতে দেয়া হলো না রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে। দিল্লি থেকে নয়ডায় যেতেই এক্সপ্রেসওয়েতে থামিয়ে দেয়া হলো রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার গাড়ি। পুলিশ জানায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। তাঁরা যেতে পারবেন না। তারপর তর্কাতর্কি, ধাক্কাধাক্কি, কংগ্রেস কর্মীদের প্রতিবাদ চলতে থাকে। এরপর রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে আটক করা হয়।

রাহুলদের গাড়ি থামিয়ে দেয়ার পর তাঁরা নেমে হাঁটতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ তাঁদের হাঁটতেও দেয়নি। পুলিশ জানায়, ১৪৪ ধারা জারি আছে। তাই তিনি যেতে পারবেন না। রাহুল প্রশ্ন করেন, কেন তাঁকে যেতে দেয়া হবে না। এ নিয়ে তর্কাতর্কি চলতে থাকে। রাহুল বলেন, তিনি একা যাবেন। তা হলে তো ১৪৪ ধারা ভাঙা হবে না। কিন্তু পুলিশ তার অনুমতিও দেয়নি।

এরই মধ্যে দেখা যায়, রাহুল রাস্তায় পড়ে গেছেন। রাহুলের অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। তাঁর উপর লাঠিও চালিয়েছে। পরে উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থ নাথ সিং বলেন, রাহুল নিজেই পড়ে গিয়ে নাটক করেছেন। তাঁর দাবি, রাহুল আসলে বিদেশ থেকে এসে ফটো অপের জন্য এই ধরনের নাটক করছেন।

আর কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, হাথরাসে দলিত মেয়ের উপর চরম অত্যাচার করে ধর্ষণ করা হলো, মেয়েটি মারা গেল। পুলিশ মাঝরাতে পরিবারকে আটকে রেখে নিজেরাই দেহ সৎকার করল। তারপরেও সেই পরিবারের কাছে কাউকে যেতে দেবে না? প্রতিবাদ করতে দেয়া হবে না? যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে কোন আইন চালু আছে? কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা এক্সপ্রেসওয়েতে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

কংগ্রেসের দাবি, অতীতেও রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা এ ভাবে নির্যাতিতা বা নির্যাতিতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁদের আটকে দেয়া হয়েছে। তাঁদের প্রতিবাদের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।

জিএইচ/এসজি(এএনআই, এনডিটিভি