1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইঘুর মুসলিমদের দাস বানিয়েছে চীন?

১৬ ডিসেম্বর ২০২০

জোর করে উইঘুর মুসলিমদের দিয়ে তুলো চাষ করানোর অভিযোগ উঠল চীনের বিরুদ্ধে। চীন কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।

https://p.dw.com/p/3mmZU
উইঘুর মুসলিম
ছবি: U. Uighur

চীন কি তবে মধ্যযুগে ফিরে গেল? শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের দিয়ে দাসত্ব করানোর অভিযোগ উঠল চীনের কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে।চীন অবশ্য এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি। অন্যদিকে, এই অভিযোগ সামনে আসার পর আঙুল উঠেছে বিশ্বের প্রথম সারির কয়েকটি জুতো ও পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থার দিকেও।

মার্কিন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসি সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সংবাদসংস্থা বিবিসি-ও এই রিপোর্টের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার উইঘুর মুসলিমকে তুলো চাষে বাধ্য করা হয়েছিল। তাদের দিয়ে জোর করে হাত দিয়ে তোলানো হয়েছিল। যে কায়দায় তাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা আধুনিক শ্রমিক অধিকারের বিরোধী। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কার্যত দাসের মতো ব্যবহার করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে।

‘চীনের শিনজিয়াংয়ে ধর্মের স্বাধীনতা আছে’: প্রতিবেদন

শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীন প্রশাসনের ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব বহু অধিকার রক্ষা সংস্থা। জাতিসংঘেও এ প্রসঙ্গে চীনকে বার বার আক্রমণ করা হয়েছে। সম্প্রতি জার্মানির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ প্রসঙ্গে চীনের সমালোচনা করেছিল। তবে দাসত্বের বিষয়টি এই প্রথম সামনে এলো।

শিনজিয়াং প্রদেশে গোটা বিশ্বের ২০ শতাংশ তুলো উৎপাদন হয়। চীন এই তুলো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। অ্যাডিডাস, নাইকে, গ্যাপের মতো সংস্থা শিনজিয়াং প্রদেশের তুলো কেনে। অধিকাররক্ষা সংস্থাগুলির বক্তব্য, এই সংস্থাগুলি সব জেনেও চীনের থেকে তুলো কেনে। অবিলম্বে তা বন্ধ করা উচিত।

মিউনিখে অবস্থিত উইঘুর মুসলিম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ইসা জানিয়েছেন, শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার, গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আগেই মামলা করেছিলেন তাঁরা। এ বার দাসত্ব নিয়ে নতুন করে মামলা করা হবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)