1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইঘুর বিতর্কে জার্মানির পাঁচটি সংস্থার নাম

৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

চীন উইঘুর শ্রমিকদের দিয়ে জোর করে কাজ করায়। আর তা কেনে জার্মানির পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। অভিযোগ মানবাধিকার সংগঠনের।

https://p.dw.com/p/4008p
তুলো চাষ
ছবি: VCG/imago images

দ্য ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (ইসিসিএইচআর) জার্মানির পাঁচটি বিখ্যাত সংস্থার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। এর মধ্যে আরডি, সি অ্যান্ড এ, হুগো বস, লিডল-এর মতো সংস্থা আছে। অভিযোগ, এই সংস্থাগুলি চীনের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে জিনিস কেনে। বিশেষত, জামাকাপড়। চীন ওই পণ্য উইঘুর শ্রমিকদের দিয়ে তৈরি করায়।

‘চীনের শিনজিয়াংয়ে ধর্মের স্বাধীনতা আছে’: প্রতিবেদন

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুরদের জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে বহুদিনের অভিযোগ। তাদের সেখানে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করে রাখা হয়েছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে একাধিক পশ্চিমা দেশ এবং জাতিসংঘ অভিযোগ করেছে। কিন্তু কখনোই তা মানতে চায়নি। শিনজিয়াং প্রদেশে কোনো প্রতিনিধি দলকে যেতেও অনুমতি দেয়নি। অভিযোগ, ওই অঞ্চলে উইঘুর শ্রমিকদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হয়। তাদের প্রাপ্য অর্থ দেওয়া হয় না। সে কারণেই চীন অত্যন্ত কম দামে ওই জিনিসগুলি বিভিন্ন ব্র্যান্ডকে বিক্রি করতে পারে বলে অভিযোগ। চীন যদিও কখনোই এই অভিযোগ স্বীকার করেনি।

ইসিসিএইচআর-এর অভিযোগ, পাঁচটি জার্মান সংস্থা উইঘুরদের তৈরি সেই সমস্ত জিনিস চীনের কাছ থেকে কিনছে। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। ওই সমস্ত ব্র্যান্ডের জিনিস কেনা উচিত নয় বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।

সংস্থাগুলির প্রতিক্রিয়া

আলডি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা চীনের তুরপান জিনপিন নিটিংয়ের থেকে জিনিস কেনে। ২০১৯ সালেই ওই সংস্থার সঙ্গে তারা সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করেছে। এছাড়া আর কোনো চীনের সংস্থার সঙ্গে তারা ব্যবসা করে না। ফলে উইঘুরদের তৈরি জিনিস কেনারও প্রশ্ন ওঠে না।

সি অ্যান্ড এ এবং হুগো বস তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হুগো বস জানিয়েছে, ভ্যালু এবং স্ট্যান্ডার্ড রক্ষা করা তাদের প্রথম লক্ষ্য। ফলে চীনের কাছ থেকে জিনিস কেনার যে অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা ভিত্তিহীন। আইনগতভাবে তারা কোনো অন্যায় করেনি।

তুলোর চাষ

গোটা পৃথিবীর তুলো সাপ্লাইয়ের ২০ শতাংশ চীনের। চীনের ৮০ ভাগ তুলো আসে শিনজিয়াং অঞ্চল থেকে। অভিযোগ, সেখানে উইঘুর মুসলিমদের জোর করে তুলো চাষ করতে বাধ্য করা হয়। তাদের পারিশ্রমিকও ঠিকমতো দেওয়া হয় না। ইসিসিআর-এর মতে, উইঘুরদের সঙ্গে চীন যা করছে তা মানবতা-বিরুদ্ধ। অপরাধ। কিন্তু বিশ্বের একাধিক জামা প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং ব্র্যান্ড চীনের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে। কম দামে তুলো এবং জামা কিনছে বলে তাদের অভিযোগ। এর আগে একই অভিযোগ করা হয়েছিল এইচ অ্যান্ড এম, অ্যাডিডাস, নিইকের মতো সংস্থার বিরুদ্ধে।

আমান্ডা রিভকিন/এসজি