1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উইগুরের পাশে হংকং

২৩ ডিসেম্বর ২০১৯

চীনের উইগুর মুসলিমদের সমর্থনে পথে নামলো হংকং৷  কিন্তু জোর করে সেই বিক্ষোভ বানচাল করে দিলো পুলিশ৷

https://p.dw.com/p/3VFYg
ছবি: AFP/A. Wallace

উইগুরদের পতাকা নিয়ে তাদের সমর্থনে হংকং এর রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার খানেক বিক্ষোভকারী৷  সেখানে একজন মাইকে বলছিলেন, ''এটা ভুললে চলবে না, আমাদের লক্ষ্য এক৷ আমরা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি৷ চীনের কমিউনিস্ট পার্টি যে দমন চালাচ্ছে, আমরা তার বিরুদ্ধে লড়ছি৷'' এর মধ্য়েই পুলিশ ঢুকে গোলমরিচের গুড়ো স্প্রে করতে থাকে৷ বিক্ষোভকারীরা পাল্টা বোতল ও পাথর ছুঁড়তে থাকে৷ কিছুক্ষণের মধ্য়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান৷

জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মতে, চীন অন্ততপক্ষে ১০ লাখ উইগুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের জেলে পুরেছে বা উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শিনজিয়াং-এ শিবিরে রেখেছে৷ চীন অবশ্য দাবি করেছে, ওই শিবিরগুলি আসলে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ শিবির৷ সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় এই শিক্ষা জরুরি৷ যেভাবে উইগুরদের বিরুদ্ধে চীন ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তারা এই নয়া তত্ত্ব নিয়ে এসেছে৷ 

হংকং-এর প্রতি চীন 'এক দেশ দুই ব্যবস্থা' নিয়ে চলেছে৷ ফলে হংকং-এর লোকেরা কিছু বাড়তি স্বাধীনতা ভোগ করেন, যা মূল ভূখণ্ডের লোকেরা পান না৷  কিন্তু ক্রমশ হংকং এর লোকেদের মনে হচ্ছে, তাঁদের স্বাধীনতার ওপর চীন থাবা বসাচ্ছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই তাদের অবস্থা মূল ভূখণ্ডের লোকেদের মতো হবে৷ তারা ওই স্বাধীনতা হারাবেন৷ হংকং এর বিক্ষেোভকারী ক্যাথরিনের দাবি, ''চীন সরকার সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ চায়৷  কোনও বিক্ষোভ বা ভিন্নমত তারা সহ্য করতে পারে না৷ শিনজিয়াং-এ যা হচ্ছে, তা হংকং-এও হবে৷'' ২০৪৭ সালে হংকং এর বিশেষাধিকার শেষ হবে৷  তখন চীনের অন্য জায়গার মতো অবস্থা হংকং-এর হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিক্ষোভকারীরা৷   

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)