ঈশ্বর যখন রোজগারের উপায়
ধর্ম ব্যবসা ক্রমেই জমে উঠছে ঘানায়৷ এর সঙ্গে উত্থান ঘটছে একদল ধর্মগুরুর৷ ঘানার গির্জাপ্রধানরা খুবই শক্তিশালী৷ অন্যকে সম্পত্তি আর ভালো স্বাস্থ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের অর্থভাণ্ডার ফুলেফেঁপে উঠছে৷
স্বঘোষিত পয়গম্বর
ড্যানিয়েল ওবিনিম ইন্টারন্যাশানাল গড’স ওয়ে চার্চ তৈরি করে বছর চল্লিশেই নিজের তৈরি সাম্রাজ্যের স্বঘোষিত সম্রাট! ঘানার তিনটি বড় গির্জাও তিনি তৈরি করেছেন৷ এহেন ধর্মগুরু তাঁর জনসভায় সাংবাদিককে আঘাত ও একজোড়া বালক-বালিকাকে চাবকানোর জন্য আপাতত জেলের ঘানি পিষছেন৷
বিশ্বাসীদের সংখ্যা বাড়ছে
আফ্রিকা মহাদেশে গির্জা ক্রমেই ভক্তদের আকর্ষণ করছে৷ সমীক্ষা বলছে, ধর্মপ্রচারকদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে৷ ২০০০ সালে যে সংখ্যাটা ৩০ লক্ষ ছিল, সেটা ২০১৫-তে বেড়ে প্রায় ৫৫ লক্ষে দাঁড়িয়েছে৷
রাস্তার ধারেও
ঘানার রাস্তার ধারে ইতিউতি চোখে পড়বে গির্জার বিজ্ঞাপন৷ এখানকার অধিকাংশ গির্জা মাত্র একজন দিয়েই চলে৷
টিভি চ্যানেলেও রমরমিয়ে
গির্জাপ্রধানরা এখন আর শুধু রবিবারের সকাল বা সপ্তাহের অন্যান্য দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন না৷ টিভি চ্যানেল, ওয়েব টিভি চ্যানেলের দৌলতে তাঁদের ভক্তসংখ্যা এখন অনেক৷ এই ছবিটি একটি লাইভ শো-এর আগে পর্দার পেছনে৷
প্রার্থনা যখন শব্দদোষে
প্রতিটা গির্জায় সাউন্ড সিস্টেম থাকবেই৷ উচ্চগ্রামের শব্দ সেখানে বাজবেই৷ সেটা রবিবার বা যে কোনও দিনই হতে পারে৷ ফলে যারা কাছাকাছি থাকেন বা কাজকর্ম করেন, তাঁদের পক্ষে সেটা সহ্য করা একরকম মানসিক কষ্টই বলা যেতে পারে৷ তবে সরকার ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে সৃষ্ট দূষণ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে৷
গির্জাপ্রাঙ্গণে কচিমুখ
তরুণরাই এখন গির্জা চত্বরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ অলৌকিকে বিশ্বাস রাখা, ক্ষত বা রোগ নিরাময়ে দৈবের শরণ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই এখন গির্জা তরুণদের ভরসা কাজে লাগাচ্ছে৷
ভোর হলো, শুরু হলো
ধর্ম প্রচারে রেডিও খুব সহায়ক৷ সারাদিন ধরে নানা রেডিও চ্যানেলে ধর্মপ্রচারের নানা অনুষ্ঠান শুনতে পাবেন৷ ছবিতে ভোরে ধর্মপ্রচারের এমন দৃ্শ্যই দেখানো হচ্ছে৷