1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়েমেনে আরও সন্দেহজনক পার্সেল উদ্ধার, অ্যামেরিকায় সতর্কতা

৩০ অক্টোবর ২০১০

ব্রিটেন ও দুবাই থেকে অ্যামেরিকাগামী পণ্যবাহী বিমানে দুটি পার্সেলে বোমা পাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/PuZ0
Emirates, jet, cargo, Yemen, এমিরেটস, বিমান, বিস্ফোরক
এমিরেটস এর পণ্যবাহী বিমান থেকে পাওয়া যায় বিস্ফোরকছবি: AP

প্রেরক সম্ভবত ইয়েমেনের ‘আরব উপদ্বীপের আল কায়েদা'৷ প্রাপক শিকাগো শহরের দু'টি ইহুদি উপাসনাগৃহ৷ পার্সেলের মধ্যে যা ছিল, তা দেখলে মনে হবে কম্পিউটারের প্রিন্টারের কালিভরা কার্ট্রিজ৷ তবে কালি নয়, সেজায়গায় ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরক৷ একটি বিস্ফোরকের সঙ্গে যুক্ত ছিল মোবাইল ফোনের চিপ৷ অর্থাৎ গোটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আল কায়েদার কর্মপদ্ধতির ছাপ খুঁজে পাওয়া যায়৷ পার্সেলদুটি পাঠানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দুই আন্তর্জাতিক কুরিয়ার কোম্পানিকে – ইউপিএস ও ফেডেক্স৷ লন্ডন ও দুবাইয়ে পার্সেলদুটিকে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিষয়টি জানা যায়৷ ইউপিএস ও ফেডেক্স ইয়েমেন থেকে পার্সেল পরিষেবা আপাতত বন্ধ রেখে তদন্তে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে৷ ইয়েমেনের কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে রাজধানী সানা'য় দেশের বাইরে পাঠানোর জন্য রাখা ২৬টি সন্দেহজনক পার্সেল পরীক্ষা করে দেখছে৷ তাছাড়া বিমানবন্দর ও দুই কুরিয়ার কোম্পানির স্থানীয় কর্মীদেরও জেরা করা হচ্ছে৷

এখন পর্যন্ত মোটামুটি এমন কিছু বিচ্ছিন্ন তথ্য জানা গেলেও তথ্যের মধ্যে বেশ কিছু ফাঁকও রয়ে গেছে৷ যেমন লন্ডনে পাওয়া পার্সেলটিকে পুরোপুরি বোমা হিসেবে ব্যবহার করা যেত কি না, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সেবিষয়ে নিশ্চিত নয়৷ কিছুক্ষণ আগে অবশ্য দুবাইয়ের পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, যে বিমানের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটতে পারতো৷ সংবাদ মাধ্যমের একাংশের সূত্র অনুযায়ী লন্ডনে পাওয়া পার্সেলের বিস্ফোরক থেকে একটি তার ও একটি সার্কিট ঝুলছিল৷ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী টেরেসা মে শুধু বলেন, ইস্ট মিডল্যান্ডস বিমানবন্দরে পাওয়া পার্সেলের মধ্যে বিস্ফোরক ছিল৷ লন্ডন ও দুবাইয়ে পাওয়া পার্সেল ছাড়াও অন্য কোনো বিস্ফোরক বোঝাই পার্সেল অ্যামেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট নয়৷

এত বিভ্রান্তির মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে বক্তব্য রেখেছেন৷ তিনি শুধু বলেন, দুটি ডিভাইসের মধ্যে বিস্ফোরক ছিল৷ গত ২৪ ঘণ্টার ঘটনাপ্রবাহের আলোকে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে সতর্কতা বজায় রাখা কতটা জরুরি, বলেন ওবামা৷

প্রেসিডেন্টের সন্ত্রাস দমন সংক্রান্ত উপদেষ্টা জন ব্রেনান বলেন, পার্সেলগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল কোনো এক ধরনের হামলা চালানো৷ তিনি আরও জানান, আগেভাগেই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পেছনে সৌদি আরবের ভূমিকা ছিল৷ তিনি সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন৷ ব্রেনান সরাসরি ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহ'র সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেছেন৷ ইয়েমেন এই তদন্তের ক্ষেত্রে সবরকম সহায়তার অঙ্গীকার করেছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই