1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইস্তাম্বুলের শতবর্ষ পুরোনো ট্রাম

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

বহুসংস্কৃতির মিশেলে তৈরি ইস্তাম্বুল পর্যটকদের ভীষণ প্রিয়৷ এই শহরের একটা বিশেষ অভিজ্ঞতা শত বছর পুরোনো ট্রাম টি-টুতে চড়া৷ এতে চড়ে আপনি চলে যেতে পারেন সুদূর অতীতে৷ স্বাদ নিতে পারেন ইস্তাম্বুলের ঐতিহ্য ও আধুনিক ইতিহাসের৷

https://p.dw.com/p/46rHB
ছবি: DW

ঐতিহাসিক ট্রাম টি-টু ইস্তাম্বুলের একটি বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক৷ এতে চড়ে ইস্তিকলাল জাদ্দেস্সি বা স্বাধীনতা সড়ক ধরে এগিয়ে গেলে অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায়৷

নস্টালজিক ট্রামের এই রুট মাত্র ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ৷ তাকসিম স্কয়ার থেকে টানেল স্টেশন পর্যন্ত এই পথে পাশাপাশি বড়জোর দু'টি গাড়ি চলতে পারে৷ এটা একটা শপিং স্ট্রিট ও নৈশ প্রমোদের জায়গা৷ শুধু পর্যটক নয়, অনেকের জন্যই একশ’ বছর পুরোনো এই রেলগাড়িতে চড়া একটা বিশেষ অভিজ্ঞতা৷

১৮৭১ সালে ইস্তাম্বুলের রাস্তায় প্রথম ট্রাম চলতে শুরু করে৷ পরে বছরে প্রায় ১০ কোটি যাত্রী এই ট্রাম ব্যবহার করতেন৷ তবে ষাটের দশকে শহরটি ট্রামের চেয়ে গাড়ির ওপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে৷

১৯৯০ সালে T2 ট্রামের প্রথম রুটটি আবার চালু করা হয়৷ এখন পাঁচটি ট্রাম লাইন চালু আছে৷

ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক ট্রাম টি-টু

পর্যটক ইয়াসিন ডুসুনচেলির ভাষায়, ‘‘মানুষ এই ট্রাম পছন্দ করেন কারণ এটা পুরোনো এবং কালের সাক্ষী৷ অতীতকে জীবন্ত করে তোলে এই ট্রাম৷ তাই এতে মানুষের অনেক আগ্রহ৷ তুরস্ক ও অন্য অনেক দেশের লোকেরা এখানে ছবি তোলেন৷ এই ট্রাম কারো চোখ এড়ায় না৷ তাই এটি ইস্তাম্বুলের একটি বিশেষ প্রতীক৷’’

প্রতিটি স্টপেই কিছু না কিছু আছে৷ যেমন হোটেল পেরা প্যালেসে পাঁচ মিনিটেই ঘোরা যায়৷ অরিয়েন্ট এক্সপ্রেসে ১৮৯৫ সালে এই বিলাসবহুল থাকার জায়গাটি তৈরি করা হয়৷

সারাবিশ্বের বিখ্যাত লোকেরা এখানে থেকেছেন৷

অতিথিরা ঐতিহাসিক এই আবহ উপভোগ করেন৷

ট্যুরিস্ট গাইড আরজু তোরমান বলেন, ‘‘আপনি এখানে অনেকাংশে ফ্রেঞ্চ ও ব্রিটিশ এবং কিছুটা মুরিশ ও প্রাচ্যের ছোঁয়া পাবেন৷ তাই এটা যেন সবকিছুর মিশেলে তৈরি৷ এটা আমাদের সে সময়ের জীবনবৈচিত্র্য সম্পর্কে ধারণা দেয়৷ একটা বহুসংস্কৃতির পরিবেশ৷’’

এরপর এগিয়ে গেলে লে গ্যালাটাসারায় স্টেশন৷ এখানে ১৮৭৬ সালে তৈরি ফ্লাওয়ার প্যাসেজ৷ এখানে ধ্রুপদি টার্কিশ খাবারের সন্ধান মিলবে৷ যেমন, সেভিচ রেস্টুরেন্ট৷ এখানকার মেন্যুতে ২৫ পদের টার্কিশ ক্ষুধাবর্ধক বা অ্যাপিটাইজারের নাম আছে৷

পাঁচটি স্টপ প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রীকে ঘুরিয়ে দেখায় এই ট্রামটি৷

দুই কিলোমিটারেরও কম দূরত্ব চলার পর নস্টালজিয়া ট্রাম পৌঁছায় তাকসিম স্কয়ারে৷ ইস্তাম্বুলের আধুনিক অথচ ঐতিহ্যময় অতীত ইতিহাস ঘুরে আসার পালা আপাতত এখানে শেষ৷ 

ইয়েন্স ফন লারচার/জেডএ