‘ইস্তানবুল বিমানবন্দর’ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর তুরস্কের ‘ইস্তানবুল বিমানবন্দর’৷
মহাযজ্ঞ
২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল থেকে বিমানবন্দরটিতে ফ্লাইট পরিচালনা শুরুর জন্য বিপুল কর্মযজ্ঞ সারতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে৷ ৪৭,৩০০ টন ওজনের যন্ত্রপাতি সরাতে হয়েছে পুরাতন বিমানবন্দর থেকে৷ যার মধ্যে এক একটি ৪৪ টন ওজনের উড়োজাহাজ টানার বাহনও ছিল৷ সব মিলিয়ে ৫ হাজার ট্রাকের সমান যন্ত্রপাতি সরাতে হয়েছে৷ এই কাজে নিয়োজিত ছিলেন ১,৮০০ কর্মী৷
নজরকাড়া
আর্থিকভাবে বিমানবন্দরটি কবে নাগাদ লাভজনক হবে সেটি অনেকটাই অনিশ্চিত৷ তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ানের কাছে এটি আত্মমর্যাদার একটি প্রকল্প৷ ২০১৮ সালে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করেন তিনি৷ স্থাপত্যের দিক থেকেও এটিকে নজরকাড়া হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে৷ যেমনটি ছবির টাওয়ারটি দেখে বোঝা যায়৷
নতুন উচ্চতায়
ইস্তানবুল বিমানবন্দর দিয়ে বছরে ৯ কোটি যাত্রী যাতায়াত করবে৷ তবে ২০২৮ সালে সংখ্যাটি ২০ কোটিতে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ ১,১২০ কোটি ডলার খরচ করে তৈরি নতুন বিমানবন্দরটি তখন দৈনিক ৫০০ উড়োজাহাজ ধারণক্ষম হবে৷ প্রতিদিন ২,০০০ উড়োজাহাজ সেখান থেকে উড়তে এবং অবতরণ করতে পারবে৷ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হিসেবে বিবেচিত আটলান্টা দিয়ে বছরে সাড়ে দশ কোটি যাত্রী যাতায়াত করে৷
বিদায় আতাতুর্ক
নতুনটিতে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে পুরাতন আতাতুর্ক বিমানবন্দরের বিদায় ঘণ্টা বাজালো তুরস্ক৷ নতুন ইস্তানবুল বিমানবন্দরে যুক্ত হওয়া ২৮০টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৫১টিই আতাতুর্ক থেকেই উড়তো৷ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের উঠানামা সেখানে বন্ধ৷
বিপুল প্রত্যাশা
নতুন বিমানবন্দরটি তৈরি করা হয়েছে শহরের বাইরে সবুজ প্রান্তরে৷ এটিকে ইউরোপীয়-এশীয় আকাশপথে চলাচলকারী উড়োজাহাজগুলোর কেন্দ্রে পরিণত করতে চায় দেশটি৷
সমালোচনা
অনেকটা পরিকল্পনামাফিক কাজ এগুলেও প্রকল্পটির সব কিছু সহজ ছিল না৷ নির্মাণ কাজ চলাকালীন অনেক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে৷ অনিরাপদ কর্মপরিবেশের কারণে শ্রমিক বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে৷ বিমানবন্দরটির অবস্থান এমন এক জায়গায় যেখানে অনেকসময় বাতাসের চাপ আর কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকে৷ সেই সঙ্গে উড়োজাহাজের গতিপথ ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে পরিযায়ী পাখিদের অভিযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলেও সমালোচনা রয়েছে৷