ইসলামিক স্টেট খোরাসান কারা?
কাবুল বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট খোরাসান। তালেবানের সঙ্গে এই গোষ্ঠীর বিরোধ কোথায়?
ভয়াবহ কাবুল বিস্ফোরণ
বৃহস্পতিবার জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর। অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত বহু। ইসলামিক স্টেট খোরাসান গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
সতর্কতা জারি হয়েছিল
মার্কিন সেনা এবং যুক্তরাজ্যের সেনা আগেই ইসলামিক স্টেট খোরাসান নিয়ে সতর্কতা জারি করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে এই গোষ্ঠী ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করছে। তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আছে। যে কোনো সময় তারা হামলা চালাতে পারে।
মৃত্যু হয়েছে তালেবানের
বিস্ফোরণে বেশ কিছু তালেবানেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ইসলামিক স্টেট খোরাসানকে রুখতে তারা বিমানবন্দরের বাইরে চেকপোস্ট তৈরি করেছিল।
কেন খোরাসান
আইএসআইএস জঙ্গিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইসলামিক স্টেট খোরাসান। মধ্যযুগে আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে খোরাসান প্রদেশ বলা হতো। সেখান থেকেই খোরাসান শব্দটি নিয়েছে এই গোষ্ঠীটি।
তালেবান সমঝোতার রাস্তায়
ইসলামিক স্টেটের এই গোষ্ঠীটি মনে করে, অ্যামেরিকার সঙ্গে আলোচনা করে তালেবান সমঝোতার রাস্তায় চলে গেছে। সে কারণে তালেবানকে পছন্দ করে না এই গোষ্ঠী।
তালেবানের সঙ্গে সংঘর্ষ
তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর তাদের সঙ্গে আইএস খোরাসানের একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু খোরাসান জঙ্গি তালেবানের হাতে মারা গেছে। তারাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
বিশ্বাসের বিভেদ
তালেবান ইসলামের দেওবন্দি মতে বিশ্বাসী। ইসলামিক স্টেট বিশ্বাস করে ইসলামের সালাফি আন্দোলনে। ফলে গোড়া থেকেই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মতপার্থক্য আছে।
কে কী চায়
তালেবান দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানকে ইসলামিক আমিরাত বানানোর লক্ষ্যে লড়াই চালাচ্ছিল। আইএস চায় গোটা মধ্য এশিয়া। বস্তুত, তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর বহু ইসলামি গোষ্ঠী উল্লাস প্রকাশ করলেও আইএস তা করেনি।
কাবুলে ইসলামিক খোরাসান
মার্কিন গোয়েন্দাদের বক্তব্য, শুধু কাবুলে এই মুহূর্তে অন্তত দেড় হাজার আইএস-কে যোদ্ধা আছে। তারা ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করছে। সিরিয়া, ইরাক থেকেও যোদ্ধাদের নিয়ে আসা হচ্ছে।
মোট যোদ্ধার সংখ্যা
জাতিসংঘের একটি সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, সব মিলিয়ে হাজার দশেক ইসলামিক স্টেট খোরাসানের যোদ্ধা আছে। দ্রুত তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে।
জিহাদই একমাত্র রাস্তা
ইসলামিক স্টেট খোরাসান মনে করে, জিহাদের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে হবে। অমুসলিমদের সঙ্গে সমঝোতা নয়, তাদের শাস্তি দিতে হবে।