1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ভাবনা

৪ জুন ২০২১

ইসরায়েলে বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়া প্রায় নিশ্চিত৷ কিন্তু নতুন যে নেতৃত্ব আসতে চলেছে তা নিয়ে ফিলিস্তিনিরা আশ্বস্ত নন৷

https://p.dw.com/p/3uQfo
থম দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন নাফটালি বেনেট৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী হবেন বর্তমান সংসদের বিরোধী নেতা ইয়াইয়া লাপিদ৷
থম দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন নাফটালি বেনেট৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী হবেন বর্তমান সংসদের বিরোধী নেতা ইয়াইয়া লাপিদ৷ছবি: Ronen Zvulun/Pool Photo/AP/picture alliance

ইসরায়েলে নতুন সরকার গঠনে বিরোধী নেতাদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তাতে প্রথম দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন নাফটালি বেনেট৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী হবেন বর্তমান সংসদের বিরোধী নেতা ইয়াইয়া লাপিদ৷

সাম্প্রতিক সংঘাতের বেশিরভাগ দায় ফিলিস্তিনিদের বলে বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন সম্ভাব্য নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফটালি বেনেট৷ ইসরায়েলের চ্যানেল ১২কে তিনি বলেন, ‘‘সত্যটা অবশ্যই বলতে হবে৷ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যে সংঘাত, সেটা এলাকা নিয়ে নয়৷ ফিলিস্তিনিরা এখানে আমাদের অস্তিত্ব স্বীকার করে না, এবং মনে হচ্ছে এই মনোভাব আরো অনেকদিন থাকবে৷''

প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলওর একজন প্রতিনিধি বাসেম আল-সালহি বলছেন, যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি নেতানিয়াহুর চেয়ে কম চরমপন্থি নন৷ ‘‘তিনি কতটা চরমপন্থি তা প্রমাণের চেষ্টা চালাবেন,'' বলেন আল-সালহি৷

গাজার এক সরকারি কর্মকর্তা আহমেদ রেজিকের কণ্ঠেও একইরকম সুর শোনা গেছে৷ ‘‘ইসরায়েলের নেতাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই,'' বলে মনে করেন তিনি৷ ‘‘তারা তাদের দেশের জন্য ভালো কিংবা খারাপ৷ কিন্তু আমাদের প্রশ্নে তারা সবাই খারাপ, এবং তারা সবাই ফিলিস্তিনিদের তাদের অধিকার ও ভূমি ফিরিয়ে দিতে চান না৷''

গাজা শাসন করা হামাসও বলছে, ইসরায়েলে সরকারে কে নেতৃত্বে আছে সেটা কোনো পার্থক্য নিয়ে আসে না৷ ‘‘ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলে ডান, বাম, মধ্যপন্থি এমন কয়েক ডজন সরকার দেখেছে৷ কিন্তু তারা সবাই ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রশ্নে বৈরী মনোভাব দেখিয়েছে,'' বলেন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম৷

এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি সরকারের অংশ হতে যাচ্ছে একটি ইসলামি দল৷ ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যার ২১ শতাংশ আরব সম্প্রদায়ের৷ তারাই ভোট দিয়ে ঐ দলকে সংসদে পাঠিয়েছে৷ এই আরবদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ফিলিস্তিনের মতো, তবে তারা ইসরায়েলের নাগরিক৷

ইসলামি ঐ দলের নেতা মনসুর আব্বাস বলেন, বিরোধীদের মধ্যে সরকার গঠনের যে চুক্তি হয়েছে, তার আওতায় ইসরায়েলের আরব অধ্যুষিত শহরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন ও সেখানে সহিংসতা কমাতে ১৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে৷

তবে পশ্চিম তীর ও গাজায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন মনসুর আব্বাস৷ তিনি ‘শত্রু'র পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে৷

মনসুর আব্বাস সম্পর্কে গাজার বাসিন্দা বাদরি করম বলেন, ‘‘তিনি একজন বিশ্বাসঘাতক৷ গাজায় নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে যখন তার মত চাওয়া হবে তখন তিনি কী করবেন? তিনি কি তাতে সায় দেবেন এবং ফিলিস্তিনিদের হত্যার অংশীদার হবেন?''

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণের কট্টর সমর্থক নাফটালি বেনেট৷ তিনি সেটা চালিয়ে যেতে চান৷ তবে ফিলিস্তিনিদের জন্য কিছু শর্ত সহজ করার পক্ষে তিনি৷ ‘‘এ প্রশ্নে আমার ভাবনা হচ্ছে সংঘাত কমিয়ে আনা৷ আমরা এটার সমাধান করবো না৷ তবে যেখানে সম্ভব সেখানে শর্ত সহজের চেষ্টা করবো- যেমন আরো ক্রসিং পয়েন্ট বসানো, জীবনমানের উন্নতি করা, আরো ব্যবসা, আরো শিল্প স্থাপন- এসব আমরা করবো,'' বলেন নাফটালি বেনেট৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)