1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল মিটিং

২৮ এপ্রিল ২০২০

অবরুদ্ধ পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বাড়তে থাকা দখলদারির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য এ সপ্তাহে অনলাইনে বৈঠকে বসার ঘোষণা দিয়েছে আরব লিগ৷

https://p.dw.com/p/3bV1j
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/Zuma Press/APA Images/T. Ganaim

ফিলিস্তিনি নেতাদের অনুরোধে আরব লিগের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী বৃহস্পতিবার এই বৈঠকে বসবেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়৷ বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে মুখোমুখি না বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

আরব লিগের উপ সচিব হোসাম জাকি বলেন, ‘‘ইসরায়েলের পরিকল্পনা মোকাবেলা করতে ফিলিস্তিনি নেতাদের কিভাবে রাজনৈতিক, আইনী ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়া যায়, বৈঠকে সেটা নিয়েই আলোচনা হবে৷’’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু দখল করা পশ্চিম তীরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ আরো বাড়াতে বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছেন৷ আগামী কয়েক মাসে ওই পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নে নেতানিয়াহু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেনি গান্তাজের সঙ্গে যৌথ সরকার গঠনের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন৷

আরব লিগের প্রধান আহমেদ আহমেদ আবুল গেইত ইসরায়েলের পরিকল্পনার বিষয়ে সর্তক করে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন৷ সেখানে তিনি ইসরায়েলের কারণে ওই ‍অঞ্চলে ‘উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বিশ্ব এখন করোনা ভাইরাস মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যস্ত৷ ইসরায়েল এই সুযোগের ‘অপব্যবহার' করতে চাইছে৷’’

১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল৷ তারপর থেকে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে দেশটি ওই অঞ্চলে নিজেদের দখলদারি বাড়িয়ে চলেছে৷

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এ বিষয়ে বলেছিলেন, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দাখলদারি কেমন হবে তা নিয়ে দেশটির নতুন জোট সরকার সিদ্ধান্ত নেবে৷ এ বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র একটি  ‘মধ্যপ্রাচ্য শান্তি চুক্তি পরিকল্পনা’ ঘোষণা করে৷ বিতর্কিত ওই পরিকল্পনায় ইসরায়েলকে সহজেই জেরুসালেমের পুরোটা নিজেদের দাবি করে সেটিকে রাজধানী ঘোষণা করার এবং পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণ অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷

আরব দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনা মানবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়ে বলেছে, পুরো পরিকল্পনা ইসরায়েলের পক্ষে করা হয়েছে এবং সেখানে ফিলিস্তিনিদের ন্যূনতম অধিকারও রক্ষা করা হয়নি৷

আরব দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলেছে, ওই পরিকল্পনা সংকট সামাধানে দ্বি-রাষ্ট্র নীতির কবর দিয়েছে৷

এসএনএল/এসিবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য