1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

ইসরায়েলে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমানোর উদ্যোগ

৫ জানুয়ারি ২০২৩

ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকার গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল করার পরিকল্পনা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে৷ সর্বোচ্চ আদালতের ক্ষমতা খর্ব করে নির্বাহী শাখার নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার৷

https://p.dw.com/p/4LkfZ
ইসরায়েল সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ফটো)
ইসরায়েল সুপ্রিম কোর্ট (ফাইল ফটো)ছবি: Rafael Ben-Ari/Chameleons Eye/Newscom/picture alliance

মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র চালু গণতন্ত্র হিসেবে ইসরায়েল এতকাল গর্ব করে এসেছে৷ কিন্তু বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে বর্তমান দক্ষিণপন্থি সরকারের বিতর্কিত পরিকল্পনা এবার সেই ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে৷ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করে নির্বাহী শাখার আধিপত্য বাড়ানোর লক্ষ্যে বিতর্কিত পরিকল্পনা পেশ করেছে নতুন সরকার৷ এর আওতায় সরকার সুপ্রিম কোর্টের কিছু রায় বদলে দেবার ক্ষমতা পাবে এবং বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রেও সরকারের ক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে৷ বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন অবশ্য এমন পদক্ষেপকে ‘সংস্কার' হিসেবে তুলে ধরে বিচার বিভাগকে বরং আরও শক্তিশালী করার এবং জনগণের আস্থা ফেরানোর দাবি করেছেন৷ তাঁর মতে, ভোট না পেয়েও কিছু মানুষ যেভাবে এতকাল জনগণের হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন, সেই ব্যবস্থাকে মোটেই গণতন্ত্র বলা চলে না৷ বিচার বিভাগে ‘বামপন্থি ভাবধারার অতিরিক্ত সদস্য' সক্রিয় রয়েছেন বলে বর্তমান সরকার বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে৷

এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদ ও সরকার আরও ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে৷ অর্থাৎ ক্ষমতাকেন্দ্রের পছন্দের প্রার্থীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন৷ অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট আর ‘ক্নেসেট' বা সংসদে অনুমোদিত কোনো আইন অবৈধ ঘোষণা করতে পারবে না৷ ১২০ জন সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৬১ জনের সমর্থনের ভিত্তিতেই এমন অনেক রায় বদলে দেওয়া যাবে৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েলে কোনো সংবিধান না থাকায় বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিতে কোনো আইন বৈষম্যমূলক মনে হলে সেটি বাতিল করা সম্ভব৷

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ তাঁর ধর্মীয়-জাতীয়তাবাদী জোট সরকারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগের দায়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে বা আনা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবারই মন্ত্রিসভায় চরম কট্টরপন্থি ইহুদি রাজনীতিক আরইয়ে দেরির অন্তর্ভুক্তির বিরুদ্ধে মামলার শুনানি হচ্ছে৷ করের ক্ষেত্রে জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে মন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সেই মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ সর্বোচ্চ আদালতের ক্ষমতা খর্ব করে সরকারের সদস্যরা নিজেদের জন্য রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করছেন বলে তাই বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠছে৷ কিন্তু সেই উদ্যোগ সফল হলে সরকারের কার্যকলাপের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং গণতন্ত্রের ভিত দুর্বল হয়ে উঠবে, এমন আশঙ্কা বাড়ছে৷ সমালোচকদের মতে, রাষ্ট্রের কার্যকলাপের উপর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রভাবও বাড়তে পারে৷

ইসরায়েলের বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ সরকারের এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করে বলেছেন, ক্ষমতায় ফিরলে তিনি সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করবেন৷ এক টুইট বার্তায় তিনি এমন পদক্ষেপের ফলে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের গোটা আইনি প্রণালীর বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)