1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

যা শিশুদের অমনোযোগী করে তোলে

২৯ জুলাই ২০১৮

আপনি কি জানেন, যেসব শিশু নিয়মিত কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে তাদের আচরণগত সমস্যা হয়? কিংবা টানা বেশিক্ষণ কাজ করলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থাকে? সাম্প্রতিক কিছু গবেষণার খবর থাকছে এখানে৷

https://p.dw.com/p/32C2k
Symbolbild - Mädchen mit Tablet
ছবি: Colourbox

এলইডি স্ক্রিন কি ছোট্ট শিশুদের জন্য ক্ষতিকর?

অবশ্যই, যেসব শিশু নিয়মিত কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে, তাদের আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়৷ তারা সাধারণত হাইপারঅ্যাকটিভ কিংবা অমনোযোগী আচরণ করে৷ দুই থেকে ছয় বছর বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য৷

জার্মানির লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক পাঁচ শতাধিক শিশুর উপর কয়েকবছর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন৷ তাঁরা বলছেন, যে শিশুরা প্রতিদিন কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করেছে, একবছর পর দেখা গেছে, তারা, যে শিশুরা এসব ব্যবহার করেনি, তাদের চেয়ে বেশি হাইপারঅ্যাক্টিভ কিংবা অমনোযোগী আচরণ করেছে৷

গবেষকরা আরও জানতে পেরেছেন, যে শিশুরা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে তাদের, যারা সেগুলো ব্যবহার করে না, তাদের সঙ্গে মিশতে সমস্যা হয়৷

তাই গবেষকদের পরামর্শ হচ্ছে, তিনবছরের কম বয়সি শিশুদের কোনোভাবেই কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয়৷ আর তারচেয়ে বেশি বয়সি শিশুদের দিনে ত্রিশ মিনিটের বেশি এলইডি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেয়া উচিত নয়৷

নারীর বেশিক্ষণ কাজ করা উচিত নয়!

যেসব নারী সপ্তাহে গড়ে ৪৫ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাজ করেন, তাদের ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে৷ ক্যানাডার একদল গবেষক জানিয়েছেন এই তথ্য৷ তবে, পুরুষের ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য নয়৷ গবেষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, যেসব নারী বেশিক্ষণ কাজ করেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি, যারা কম কাজ করেন, তাঁদের চেয়ে ৬৩ শতাংশ বেশি৷

গবেষকরা ৭,০০০-এর বেশি কর্মীর উপর বারো বছর ধরে গবেষণার পর এই তথ্য জানিয়েছেন৷ তবে তাঁরা এখনো জানেন না, এক্ষেত্রে ঠিক কী কারণে পুরুষের চেয়ে নারীর ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি৷ তাদের পরামর্শ হচ্ছে, টানা দীর্ঘক্ষণ ডেস্কে বসে কাজ না করে মাঝেমাঝে অল্পসময়ের জন্য হাঁটাহাটি করা উচিত৷ আর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি কাজের পর নিয়মিত ব্যায়ামও জরুরি৷

রক্তে শর্করা কমায় ডাল 

খাবারের প্লেট থেকে অর্ধেক আলু বা ভাত কমিয়ে তার বদলে ডাল খেলে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে৷ ক্যানাডার এক গবেষক দলের দাবি, এটা করতে পারলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নাটকীয়ভাবে কমে যাবে৷ এভাবে রক্তে শর্করার পরিমাণ ২০ শতাংশ কমানো সম্ভব৷ আর কেউ যদি ডালের সঙ্গে আলু মিশিয়ে খান, অর্থাৎ মূল খাবার হয় ডাল, তাহলে শর্করার পরিমাণ কমবে ৩৫ শতাংশের মতো৷

ডাল এবং অন্যান্য শিম জাতীয় খাদ্য স্টার্চ থেকে শর্করা রক্তে মেশার প্রক্রিয়াকে মন্থর করে দেয়৷ ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়৷ তাই মোদ্দা কথা হচ্ছে, খাবারের মেন্যুতে মাঝে মাঝে ডাল রাখুন৷ আর বাঙালির জন্যতো এটা কোনো সমস্যা হওয়ারই কথা নয়৷ কারণ, ডাল ভালোবাসেন না, এমন কেউ কি আছেন?

লারিসা ওয়ার্নেক/এআই

আপনার শিশুও কি স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে আসক্ত? লিখুন নিজের কথা, নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান