1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের হয়ে চরবৃত্তি, ইসরায়েলে অভিযুক্ত চার নারী

১৩ জানুয়ারি ২০২২

চার নারী-সহ পাঁচজন ইরানের হয়ে চরবৃত্তি করছিল বলে অভিযোগ ইসরায়েলের। তারা সকলেই ইরান থেকে আসা ইহুদি।

https://p.dw.com/p/45SNB
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা চার নারী সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ করেছে। ছবি: Manfred Siebinger/imago images

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা শাখা শিন বেট এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ এনেছে। ইসরায়েলের মিডিয়া জানিয়েছে, পাঁচজনই ইরান থেকে আসা ইহুদি।

পাঁচজনকেই সামাজিক মাধ্যম থেকে বেছে নিয়েছিল ইরানের অপারেটর। সে নিজেকে ইরানের ইহুদি বলে পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে চার নারী ও এক পুরুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর তাদের সঙ্গে সে কয়েক বছর ধরে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটও করেছে। তাদের দায়িত্ব ছিল মার্কিন দূতাবাস সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ছবি তুলে পাঠানো।

কয়েকজন নারীর সন্দেহ ছিল অন্য পুরুষটিই আসলে ইরানের হয়ে কাজ করছে। তবে তারা কাজের বিনিময়ে অর্থ নিয়েছে বলে শিন বেট জানিয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট গোয়েন্দা সংস্থাকে ধন্যবাদ দিয়ে জানিয়েছেন, তারা একটা সন্ত্রাসী চক্রান্ত ধরে ফেলেছে। তিনি ইসরায়েলের মানুষকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমে কোনো সন্দেহজনক পোস্ট দেখলেই তারা যেন কর্তৃপক্ষকে জানান। কারণ, সামাজিক মাধ্যমে ওই পোস্টের পিছনে তেহরান থাকতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন। 

নারীদের কী করতে বলা হয়েছিল

একজন অভিযুক্ত নারী তার স্বামীর সঙ্গে গিয়ে তেল আভিভে মার্কিন দূতাবাসের ছবি তুলেছিল। একই নারী স্থানীয় একটি শপিং সেন্টারের বিস্তারিত তথ্য ও সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন, তা জানিয়েছিল।

ওই নারী তার ছেলেকে গোয়েন্দা বিভাগে সামরিক সার্ভিসে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিল। তার ছেলের ফারসি ভাষার উপর দখল কতটা সেটাও ইরানের অপারেটর ফোনে যাচাই করে দেখেছিল বলে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে।

৫৭ বছর বয়সি আরেক নারী বিভিন্ন কাজ করে পঁচ হাজার ডলার পেয়েছিল। ওই নারীও তার ছেলেকে সিক্রেট সার্ভিস ইউনিটে যোগ দিয়ে তার মিলিটারি আইডি-র ছবি ইরানের এজেন্টের কাছে পাঠাতে বলেছিল।

ওই নারীও ট্রাম্প জামানায় জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাসের ছবি তুলে পাঠিয়েছিল।

গোয়েন্দা সংস্থা কী বলছে

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই চরবৃত্তির চেষ্টা রীতিমতো গুরুতর অপরাধ। তবে তারা মনে করছে, চরবৃত্তির কাজে খুব একটা সাফল্য পায়নি পাঁচ অভিযুক্ত। তবে অভিযুক্তদের নামপ্রকাশ করার ক্ষেত্রে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আছে।

গোয়েন্দা সংস্থার বক্তব্য, ইরান দীর্ঘদিন ধরেই নেটমাধ্যমে রীতিমতো সক্রিয় এবং এটাকে তারা চরবৃত্তির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি তাদের তৎপরতা আরো অনেকটাই বেড়েছে।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)