1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানি তেল বাজারে আসছে

১৮ জানুয়ারি ২০১৬

খনিজ তেলের দাম শেষবার ব্যারেল প্রতি ২৮ ডলারের নীচে নেমেছিল ২০০৩ সালে৷ ইরানের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ঘোচার ফলে ইরান যদি এবার তেলের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ায়, তাহলে বাজার ভেসে যাবে, এই আশঙ্কা৷

https://p.dw.com/p/1HfE8
Iran Erdölindustrie
ছবি: picture alliance/AP Photo/V. Salemi

বাজারে এমনিতেই এখন খনিজ তেলের কোনো অভাব নেই৷ রাশিয়া তেল বিক্রির ওপর নির্ভর; যুক্তরাষ্ট্র ফ্র্যাকিং-এর কল্যাণে তেলে ভাসছে, বড় মাপের রপ্তানিকারক হয়ে উঠেছে; সৌদি আরব তেলের উৎপাদন কমাতে অরাজি; চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিবেগ হ্রাস পাচ্ছে; সেই সঙ্গে যদি ইরান প্রতিদিন আরো পাঁচ লাখ ব্যারেল ক্রুড বাজারে ছাড়ে, তাহলে তেলের দাম আরো পড়তে পারে – পারে কেন, পড়বে বলে ধরে নেওয়া যায়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এশিয়ায় যেমন সোমবারের ট্রেডিং-এ তেলের দাম ২৮ ডলারের নীচে নামে৷ তাতে যে সব দেশের আপত্তি আছে, এমন নয়৷

মূলত কিনবে এমআরপিএল, এসার অয়েল ও ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন – বলছে ভারতের ইকনমিক টাইমস৷ এ সব কোম্পানি চিরকালই ইরানি তেলের ভালো খদ্দের৷ ওদিকে ইউরোপীয় ব্রেন্ট ক্রুডও শুক্রবারেই একবার ২৮ ডলারের নীচে নেমে গিয়েছিল, যদিও পরে কিছুটা সামলে নেয়৷ মোট কথা, ইরানের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত আপোশ থেকেই গোটা বিকাশধারার সূচনা৷

যুক্তরাষ্ট্র যে ঐ আপোশ সম্পন্ন হওয়ার আগে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির দরুণ অপরাপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করতে চায়নি, বরং দু'সপ্তাহ অপেক্ষা করেছে, সেটা স্বাভাবিক৷ অপরদিকে এই নতুন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা পরমাণু বিরোধ সংক্রান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার তুলনায় কিছুই নয়৷ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মালমশলা সরবরাহের দায়ে ১১টি কোম্পানি বা ব্যক্তিবর্গের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করা হয়েছে৷ সে তুলনায় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার কাছ থেকে ছাড়পত্র পাবার পর ইরানের প্রায় একশ বিলিয়ন ডলার পরিমাণ অ্যাসেট, যা বিদেশে আটকা পড়েছিল, তা ছাড়া পাচ্ছে৷ সেই সঙ্গে যোগ হবে তেল বিক্রি থেকে আমদানি৷ কাজেই ইরান যে ইতিমধ্যেই একশ'টির বেশি এয়ারবাস বিমান কেনার কথা ভাবছে, তাতে আশ্চর্য কি! সেই সঙ্গে আগামী সপ্তাহে ইটালি ও ফ্রান্স সফরে আসছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত ‘ইরান ডিল' নিয়ে বিতর্ক আদৌ শেষ হয়নি৷ তবে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন এবার স্পষ্ট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষে এসে দাঁড়িয়েছেন৷ ওদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনের নতুন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে তেহরানের মনোভাব স্পষ্ট: এ সবই অপপ্রচার এবং ইরান তার ‘কনভেনশনাল ডিটারেন্ট', অর্থাৎ প্রথাগত সমরসজ্জা বিকাশের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য