1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের নির্বাচন নিয়ে জলঘোলা

৩১ মে ২০২১

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। হেভিওয়েট নেতারা ভোটে অংশ নিতে পারছেন না।

https://p.dw.com/p/3uD8Q
ইরান
ছবি: picture alliance/CITYPRESS 24

আগামী ১৮ জুন ইরানে প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচন। তার ঠিক আগে রীতিমতো আলোড়ন শুরু হয়েছে ইরানের রাজনৈতিক মহলে। অতি সম্প্রতি দেশের সাংসদদের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই। সেখানে তিনি জানিয়ে দেন, সম্প্রতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে গার্জিয়ান কাউন্সিল যে মতামত দিয়েছে, তিনি তা সমর্থন করেন। এর ফলে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বহাচনে লড়তে পারবেন না।

আল লারিজানির মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতা এর ফলে ভোটেলড়তে পারবেন না। হাসান রোহানির পর দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলির নাম একাধিকবার সামনে এসেছে।

১২ জন সদস্যকে নিয়ে ইরানে গার্জিয়ান কাউন্সিল তৈরি হয়। এর মধ্যে ছয় জন ইসলামিক স্কলার এবং ছয় জন উচ্চপদস্থ আইনজ্ঞ। এই গার্জিয়ান কাউন্সিল বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত জানান। নির্বাচনের সময় কারা লড়বে এবং কারা লড়বে না, সে বিষয়ে তারা মতামত দিতে পারেন। এবারের নির্বাচনে তারা আলির মতো মধ্যপন্থি নেতাদের বাদ দেওয়ার কথা বলেন। মূলত সুপ্রিম নেতার প্রতি অনুরাগ এবং রাজনৈতিক অবস্থান বিচার করে তারা এই মতামত দেন।

শুধু আলি নন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইশাক জাহাঙ্গিরিও এবার নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। ইশাকও আলির মতোই মধ্যপন্থি নেতা। খামেনেই জানিয়েছেন, গার্জিয়ান কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাচ্ছেন তিনি। তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

সর্বোচ্চ নেতার এই ঘোষণার পর দেশে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি সর্বোচ্চ নেতাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হকো। কিন্তু বাস্তবে তিনি তা করবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে।

এদিকে আলির দাদা সাদিক লারিজানি টুইট করে বলেছেন, ইরানের সিক্রেট সার্ভিসের ভুল তথ্যই এই ঘটনার জন্য দায়ী। সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে গার্জিয়ান কাউন্সিলকে। এক সময় সাদিক নিজেও গার্জিয়ান কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। দীর্ঘদিন ইরানের বিচারব্যবস্থার প্রধান ছিলেন তিনি। সাদিকের বক্তব্য, সরকারকে জানানো হয়েছিল, আলির ময়ে অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তা সত্যি হলে আলি ভোটে দাঁড়াতে পারেন না। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি। সম্পূর্ণ ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, রাজনৈতিক ভাবেই দেশের মধ্যপন্থি নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর পিছনে অন্য ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে যে যথেষ্ট আলোড়ন আছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

শবনম ফন হাইন/এসজি