1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে শেষ হচ্ছে নীতিপুলিশি

৪ ডিসেম্বর ২০২২

আন্দোলনের মুখে নীতিপুলিশের কার্যক্রম বন্ধ করতে যাচ্ছে ইরান৷ শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল৷ তবে নতুন কোনো কাঠামোতে বাহিনীটিকে পুনর্গঠন করা হবে কিনা সেটি এখনও পরিষ্কার নয়৷

https://p.dw.com/p/4KS8q
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি কুর্দি ইরানি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি কুর্দি ইরানি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছবি: SalamPix/abaca/picture alliance

রোববার ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মন্তাজেরির বরাত দিয়ে নীতিপুলিশের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তের খবর দেয়৷ সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ তাকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘‘বিচারবিভাগের সঙ্গে নীতিপুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই৷''

তবে বাহিনীটি ভিন্ন কোন নামে বা ভিন্ন কাঠামোতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী,নৈতিকতা সংক্রান্ত অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডসহ অন্য আইনি প্রক্রিয়াগুলো আগের মতোই বহাল থাকবে৷

ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক কামরান মতিনের মতে অ্যাটর্নি জেনারেলের ঘোষণাকে সতর্কতার সঙ্গে দেখতে হবে৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের একটি ঘোষণা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আসতে হবে যা এখনো আসেনি৷'' 

তেহরানের উপর চাপ

নীতিপুলিশের কার্যক্রম বন্ধের কথা বললেও মন্তাজেরি জানিয়েছেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থা অবশ্যই আচরণগত বিষয়গুলোর পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে৷''

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি কুর্দি ইরানি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ হিজাবে চুল ঠিকমতো ঢাকা হয়নি এমন অভিযোগে দেশটির নীতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তেহরানের একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়৷ এ নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে ইরানিদের আন্দোলনে চাপের মুখে পড়ে তেহরান৷ এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনী হাতে তিনশতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ তবে শনিবার ইরানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় সংস্থা প্রথমবারের মতো ২০০ জনের প্রাণহানির কথা স্বীকার করেছে৷

শনিবার মন্তাজেরি জানান, নারীদের হেডস্কার্ফ বা মাথা ঢেকে রাখাপোশাক পরার বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত কয়েক যুগের পুরাতন আইন সরকার পুনর্বিবেচনা করে দেখছে৷ প্রয়োজনে সেটি পরিবর্তন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি৷

ইরানের নীতিপুলিশের কার্যক্রম

‘নীতিপুলিশ' ইরানের পুলিশের একটি ইউনিট হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে৷ জনপরিসরে নারীদের ইসলামিক পোশাক পরিধানের বিষয়ে নজরদারি বা আচরণগত আইন প্রয়োগের দায়িত্ব পালন করে তারা৷

২০০৬ সালে ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আহমদিনেজাদের মেয়াদে এই বাহিনী প্রথম রাস্তায় নামে৷ ইরানীয় আইন অনুযায়ী, জনসমক্ষে নারী বা বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করা মেয়েদের মাথা ঢাকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে৷

এসব ক্ষেত্রে নীতিপুলিশের বিরুদ্ধে বারবার আইন বহির্ভূত গ্রেপ্তার ও সীমালঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে৷

এফএস/আরকেসি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)