1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে প্রতিবাদের মধ্যে পশ্চিমা হাত দেখছে তেহরান

২৮ নভেম্বর ২০২২

ইরানে দেশজুড়ে চলা প্রতিবাদের পেছনে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

https://p.dw.com/p/4KAne
ইরানে ২২ বছর বয়সি মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ কাতারে৷
কাতারে ওয়েলস এবং ইরানের বিশ্বকাপ ম্যাচ শুরুর আগে এভাবেই প্রতিবাদের অংশ নেন এক নারী (ফাইল ফটো)ছবি: Frank Augstein/AP Photo/picture alliance

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সি কুর্দি ইরানি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই প্রতিবাদের শুরু হয়েছিল৷ চুল হিজাবে ঠিকভাবে ঢাকা হয়নি এমন অভিযোগে দেশটির নীতি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল তাকে৷ এরপর তেহরানের একটি হাসপাতালে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে তার মৃত্যু হয়৷

১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এতবড় প্রতিবাদ আর দেখা যায়নি৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়লের মুখপাত্র নাসের কান্নানি এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিমা দেশগুলো এবং আমেরিকার কিছু মিত্র এই প্রতিবাদে ভূমিকা পালন করছে৷'' 

এদিকে, ইরানি কর্তৃপক্ষ দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ভাতিজি ফরিদে মুরাদখানিকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তিনি তার চাচার নেতৃত্বাধীন ইরানি কর্তৃপক্ষকে এক ‘‘হত্যাকারী এবং শিশুদের খুনি শাসক গোষ্ঠী'' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷

ফরিদে মুরাদখানি আদতে খামেনি পরিবারের এমন এক অংশের সদস্য যেটি দেশটির নেতৃত্বের সমালোচক হিসেবে পরিচিত৷ মুরাদখানি অতীতেও কারাভোগ করেছেন৷ তার ভাই মাহমুদ মুরাদখানি টুইটারে জানিয়েছেন যে, তার বোনকে গত বুধবার সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়ে ডাকা হয় এবং সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়৷

ফরিদে মুরাদখানি তার ভিডিওতে বলেছেন, ‘‘মানুষকে মুক্ত করুন, আমাদের সাথে থাকুন৷ আপনাদের সরকারকে বলুন হত্যাকারী এবং শিশুদের খুনি শাসকগোষ্ঠীকে সমর্থন না দিতে৷''

জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া প্রতিবাদ দমনে এখন অবধি ১৪ হাজারের মতো প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ইরান সরকার৷ আর নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটসের হিসেব অনুয়ায়ী, সরকারি দমনপীড়নে প্রাণ হারিয়েছে ৫১ শিশুসহ অন্তত ৪১৬ জন৷

এআই/জেডএইচ (এপি, এএফপি)