1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে ক্ষমতার কাঠামো

৪ জানুয়ারি ২০২০

ইসলামিক অভ্যুত্থানের পর ইরানের শাসন ব্যবস্থায় ‘সুপ্রিম লিডার' সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী৷ ১৯৭৯ সালে আয়াতোল্লাহ রুহল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ওই অভ্যুত্থানের পর ১০ বছর দেশ শাসন করেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3VhsO
Iran / IAEA / Atomprogramm / Zentrifugen
ছবি: Reuters

তার মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সালে সুপ্রিম লিডার হন আয়াতুল্লাহ আলী খমেনি৷ 

সুপ্রিম লিডার

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী ‘সুপ্রিম লিডার’ ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের সব অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ করবেন৷ তিনি দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান এবং যাবতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা তৎপরতার তত্ত্বাবধায়ক৷ এমনকি তিনি একাই যুদ্ধ বা শান্তি ঘোষণা করার ক্ষমতা রাখেন৷ বিচারবিভাগের নিয়োগ বা বহিষ্কার সম্পূর্ণরূপে তার হাতে৷ শাসন কাঠামোর পাঁচ নম্বরে থাকা কাউন্সিল অব গার্ডিয়ান্সও তিনি নিয়োগ দেন৷

প্রেসিডেন্ট

প্রেসিডেন্ট ইরানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর পদ৷ যদিও দেশটির সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় লাগাম টানা আছে৷ ইরানে প্রেসিডেন্ট মূলত দেশের অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ করেন৷ সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল নির্বাচনেও প্রেসিডেন্টের ভূমিকা থাকে৷ তার অধীনে আটজন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকেন৷ তার মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ২২৷ 

পার্লামেন্ট

ইরানের এককক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের সদস্য সংখ্যা ২৯০, যারা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে চার বছরের জন্য নির্বাচিত হন৷ পার্লামেন্ট খসড়া আইন তৈরি করে, আন্তর্জাতিক নানা চুক্তির অনুমোদন দেয় এবং বাজেট নির্ধারণ করে৷ কাউন্সিল অব গার্ডিয়ান্স সবসময় পার্লামেন্টের উপর নজর রাখে৷ প্রভাবশালী এই পর্ষদ পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন শরিয়া আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা বা সাংঘর্ষিক কিনা তা যাচাই করে৷

অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্ট

জনগণের ভোটে নির্বাচিত ৮৬ জন ধর্মীয় নেতা ও বুদ্ধিজীবিদের সমন্বয়ে অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্ট গঠন করা হয়, মেয়াদ আট বছর৷ তবে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের মত এই নির্বাচনেও কাউন্সিল অব গার্ডিয়ান্স প্রার্থী ঠিক করে দেন৷ অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্ট বছরে একবার এক সপ্তাহের জন্য আলোচনায় বসেন৷ এই পর্ষদ থেকেই র‍্যাংক অনুযায়ী সুপ্রিম লিডার নির্বাচন করা হয় এবং বাকিরা তাকে পর্যায়ক্রমে সম্মতি দেন৷ সুপ্রিম লিডারের সঙ্গে এই পর্ষদের মতপার্থক্য হওয়ার ঘটনা এখনো ঘটেনি৷

কাউন্সিল অব গার্ডিয়ান্স

১২ জন আইন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে কাউন্সিল অব গার্ডিয়ান্স গঠন করা হয়, যাদের মধ্যে ছয়জনকে নিয়োগ দেন সুপ্রিম লিডার৷ প্রধান বিচারপতি বাকি ছয়জনকে মনোনয়ন দেন এবং পার্লামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাতে অনুমোদন দেয়৷ পার্লামেন্টে পাস হওয়া কোনো আইন তারা চাইলে পুনঃপর্যবেক্ষণের জন্য ফেরত পাঠাতে পারে৷ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীও তারা ঠিক করে দেন৷

এরপর পর্যায়ক্রমে আসে এক্সপিডিসি কাউন্সিল, জুডিশিয়ারি, ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনটেলিজেন্স৷

এসএনএল/এফএস (পিবিএস) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান