1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে আটক নাজানিন জাঘারির মুক্তি চেয়ে লন্ডনে স্বামীর অনশন

২৬ অক্টোবর ২০২১

পাঁচ বছর ধরে ইরানে আটক স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে আবারো অনশন শুরু করছেন ব্রিটিশ দাতব্যকর্মী নাজানিন জাঘারির স্বামী রিচার্ড র‍্যাটক্লিফ৷ রোববার লন্ডনে অবস্থিত ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের বাইরে অনশন শুরু করেন তিনি৷  

https://p.dw.com/p/42BIv
UK | Richard Ratcliffe protestiert vor dem Foreign Office in London
ছবি: Aaron Chown/PA/empics/picture alliance

ইরানের বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ দাতব্যকর্মী নাজানিন জাঘারি-র‍্যাটক্লিফ গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে বর্তমানে তেহরানে আটক আছেন৷ ইরান সরকারের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে ২০১৬ সাল থেকে তেহরানের বন্দি তিনি৷

আর স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয়বারের মতো অনশনে বসেছেন রিচার্ড র‍্যাটক্লিফ৷ তার অভিযোগ, স্ত্রী নাজানিন জাঘারি-র‍্যাটক্লিফের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷

স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে ২০১৯ সালে আরেকবার করেছিলেন রিচার্ড৷

‘‘আমি আশা করিনি যে, আমাকে দ্বিতীয়বারের মতো অনশন করতে হবে৷ এটি কোনো সাধারণ কাজ নয়,'' নিজের চেঞ্জ ডট ওআরজিতে এমন মন্তব্য তার৷

জনসনকে দায়ত্ব নিতে হবে'

ইরানকে এই ঘটনার ‘প্রধান নিপীড়ক' উল্লেখ করে রিচার্ড-র‍্যাটক্লিফ বলেন, ‘‘যুক্তরাজ্য সরকারও আমাদের সহযোগিতা করছে না৷''

‘‘এটি স্পষ্ট যে, নাজানিনের মামলাটি আরো অনেক মাস আগেই সমাধান হতে পারত৷ কিন্তু অন্যান্য কূটনৈতিক এজেন্ডার জন্য তা হয়নি৷ প্রধানমন্ত্রীকে (বরিস জনসন) এর দায়িত্ব নিতে হবে৷'' 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল মনে করে, পররাষ্ট্র দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে রিচার্ড র‍্যাটক্লিফ এ ঘটনার উপর ক্রমাগত নজরদারি করতে চায়৷ অর্থাৎ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর চাপ প্রয়োগ অব্যহত রাখতে চায়৷ আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থাটি বিভিন্ন সময়ে আটক নাজানিনের মুক্তি দাবি করেছে৷

কী অভিযোগ নাজানিনের বিরুদ্ধে

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ব্রিটিশ দাতব্যকর্মী নাজানিন জাঘারিকে ইরানের তৎকালীন সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র এবং গোয়েন্দাবৃত্তির' অভিযোগে তেহরান বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়৷ ইরানে বসবাসরত মা-বাবার সাথে সাক্ষাত শেষে ফেরার পথে বিমানবন্দর থেকে আটক হন তিনি৷

বিচার শেষে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাজানিনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় তেহরানের একটি আদালত৷ তবে তেহরান আদালতের এ বিচারকে ‘বৈষম্যমূলক' বলছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷  

এরপর চলতি বছর তার সাজার মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়৷ ২০০৯ সালে লন্ডনে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রের (ইরানের) বিরুদ্ধে ‘প্রপাগান্ডা ছড়ানোর' অভিযোগে তার সাজা এক বছর বাড়ানো হয়৷

ধারণা করা হচ্ছে ইরানকে ব্রিটিশ সরকারের ৪০ কোটি পাউন্ড ঋণ ফেরত দিতে দেরি করায় নাজানিনের মুক্তির ব্যপারটি আটকে আছে৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ইরানের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে তারা টাকা ফেরত দিতে পারছে না৷   

উল্লেখ্য, স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে ২০১৯ সালে লন্ডনে অবস্থিত ইরানের দূতাবাসের সামনে ১৫ দিনের অনশন পালন করেছিল রিচার্ড ৷

জন সিলক/ আরআর (এপি, অ্যামনেস্ট ইন্টারন্যাশনাল)