ইরানি শাহ হারেমের কিছু দুর্লভ ছবি
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ইরানের নাসির আল-দিন শাহ কজর-এর হারেমে ১০০ জনেরও বেশি রানি ছিলেন৷ সেখানকার কিছু দুর্লভ ছবি থাকছে ছবিঘরে, যে ছবিগুলো দেখে বোঝা যায় তখন নারীত্বের সৌন্দর্য্য কতটা ভিন্ন ছিল!
হারেমে প্রথম ছবি তোলা
শাহ কাজর ৪৮ বছর ইরানের রাজ্য শাসন করেছেন৷ ৩০০০ বছরের ইরানের শাহদের সাম্রাজ্যকালে প্রথমবারের মতো হারেমের ছবি তোলা শুরু হয়েছিল তাঁর আমলে৷ .
মেয়ে ইসমত
যথারীতি এতগুলো রানি থাকার কারণে তাঁর সন্তানও ছিল অনেক৷ এঁদের মধ্যে ইসমত আল-দোলেহ ইরানের প্রথম নারী, যিনি পিয়ানো বাজানো শিখেছিলেন৷ শোনা যায়, শাহ ইউরোপ ট্যুরের সময় প্রথম পিয়ানো দেখেন এবং এতে আগ্রহ প্রকাশ করেন৷
প্রিয় দুই স্ত্রী
বহু রানি থাকলেও, দুই স্ত্রী ছিলেন সবচেয়ে শাহ-এর সবচেয়ে প্রিয়, আনিস আল-দোলেহ এবং তাজ আল-দোলেহ৷ রানিদের এ সব ছবিতে তাঁদের গোফ খুব চোখে পড়ে৷ কেননা সেসময় চেহারার লোম তুলে ফেলার কোনো রীতি ছিল না৷
নারীর অন্য রূপ
শাহ নাসিরের শাসনামলে (১৮৪৮ থেকে ১৮৯৬) হারেমে যেসব নারীদের ছবি তোলা হয়েছে, তাঁরা আজকের নারীদের থেকে একেবারেই অন্যরকম৷ তখনকার দিনে নারীদের ঘন ভ্রু এবং গোফ সৌন্দর্য্য হিসেবে বিবেচিত হতো৷ মেকআপের মাধ্যমে বরং তাঁরা ভ্রু এবং গোফ আরো ঘন এবং কালো করতেন৷
দরবারে প্রথম স্টুডিও
পৃথিবীতে প্রথম কোনো দরবারে অফিসিয়াল ফটোস্টুডিও তৈরি করিয়েছিলেন শাহ কাজর৷ ১৮৭০-এর দশকে রুশ ফটোগ্রাফার আন্তন সেভরিউগিনকে দরবারের প্রধান ফটোগ্রাফার নিযুক্ত করেছিলেন তিনি৷
নিজেই ফটোগ্রাফার
আন্তন দরবারের ছবি তুললেও হারেমের ছবি তুলতেন শাহ নিজে৷ ফিল্ম ডেভেলপও নাকি তিনি করতেন নিজেই৷ আর তারপর সেগুলো অ্যালবামে সাজিয়ে রেখে দিতেন৷ আজ সেই ছবিগুলো জাদুঘরে দেখতে পাওয়া যায়৷
স্কার্ট
স্কার্ট পরিহিতা এই রানি হলেম আনিস আল-দোলেহ৷
হারেমের বাগান
এটা হারেমের বাগানের ছবি, যেখানে রানীদের গল্প করতে দেখা যাচ্ছে৷
স্থূলতাই সৌন্দর্য্য
সব রানিদের ভারী শরীর দেখে মনে হয়, তখন এটাকেই সুন্দর ভাবা হতো৷ ‘রুবেনেস্ক’ ঘরানার মতোই৷
মৃত্যুতে কালো পোশাক
কারো মৃত্যু হলে কালো পোশাক পড়ার রীতি ছিল, যা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে৷ ম্যালেরিয়ার কারণে হারেমের এক রানির মেয়ের মৃত্যুর পর তোলা হয় এই ছবিটি৷