1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘুস দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র!

৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ইরানের একটি তেলের জাহাজের ভারতীয় ক্যাপ্টেন অখিলেশ কুমারকে কয়েক মিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ বিনিময়ে কুমারকে জাহাজটি এমন দেশে নিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়েছিল, যেখানে সেটি আটক করা যাবে৷

https://p.dw.com/p/3P3nd
Iranischer Tanker Adrian Darya vor Gibraltar
ছবি: AFP/Getty Images/J. Bugeja

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরান বিষয়ক কর্মকর্তা ব্রায়ান হুক এমন প্রস্তাব দিয়ে ২৬ আগস্ট কুমারকে একটি ইমেল করেছিলেন বলে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে৷ মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে৷ তারা বলেছে, শুধু কুমার নয়, অনেক জাহাজের ক্যাপ্টেনকেই এমন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে৷

কুমার মার্কিন প্রস্তাব গ্রহণ করেননি৷ তাই তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ফলে ৪৩ বছর বয়সি কুমারের যদি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ থেকে থাকে, তা জব্দ করা হবে৷ এছাড়া কোনো ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক লেনদেন করলে তা অপরাধ বলে বিবেচিত হবে৷

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরটি টুইট করেছেন৷ তিনি বিষয়টিকে ‘পুরোপুরি ব্ল্যাকমেল' বলে উল্লেখ করেন৷

নতুন নিষেধাজ্ঞা

ইরানের উপর আবারও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো যুক্তরাষ্ট্র৷ ইরান চুক্তি থেকে সরে আসার পর এই নিয়ে তৃতীয়বার নিষেধাজ্ঞা দিলো দেশটি৷ এবারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইরানের ১৬টি কোম্পানি, ১০ ব্যক্তি ও ১১টি জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এরা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সিরিয়ায় তেল রপ্তানির কাজে জড়িত৷

ইরানের রেভুলশনারি গার্ড এই কোম্পানি ও ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রণ করে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ৷ চলতি বছরের শুরুতে রেভুলশনারি গার্ডকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসি সংগঠনের' তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র৷ এই সংগঠনের আর্থিক সক্ষমতা নষ্ট করে দেয়ার মতো তথ্য কেউ দিতে পারলে তাঁকে সর্বোচ্চ ১৫ মিলিয়ন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

ইরানের ঘোষণা

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে ইরান সেন্ট্রিফিউজ তৈরি শুরু করবে৷ এর মাধ্যমে আরেক দফা চুক্তি লঙ্ঘন করতে যাচ্ছে দেশটি৷

যুক্তরাষ্ট্র ইরান চুক্তি থেকে সরে এসে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ইরানের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে৷ এই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে চুক্তির অন্য পক্ষগুলোকে চাপ দিচ্ছে ইরান৷ নইলে চুক্তি লঙ্ঘন করে ইরান নিজেদের মতো করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ চালিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়েছে৷

এই অবস্থায় চুক্তি বাঁচাতে ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন তৎপর হয়ে উঠেছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ইরানকে ১৫ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রস্তাব করেছেন৷ যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি, আবার প্রত্যাখ্যানও করেনি৷

জেডএইচ/কেএম (এপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য