1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাক ছেড়ে যাবেন না, খ্রিস্টানদের পোপ

৮ মার্চ ২০২১

পোপ ফ্রান্সিস এখন ইরাক সফর করছেন। সেখানেই তিনি খ্রিস্টানদের ইরাক ছেড়ে যেতে নিষেধ করলেন।

https://p.dw.com/p/3qKls
গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গির্জায় মৃতদের জন্য প্রার্থনা পোপ ফ্রান্সিসের। ছবি: Andrew Medichini/AP/picture alliance

ইরাকের মোসুলে পোপ ফ্রান্সিস। গোলায় বিধ্বস্ত একটি গির্জায় তিনি কথা বললেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে। তিনি যুদ্ধে নিহতদের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করলেন। বছর তিনেক আগে আইএস-এর কবল থেকে মোসুলকে উদ্ধার করে ইরাকি বাহিনী। মোসুলের খ্রিস্টান ও মুসলিমরা পোপকে জানান, আইএস শাসনে তাদের কী অবস্থা হয়েছিল। তারা এটাও জানিয়েছেন, এখন দুই সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে আছেন।

পোপ খ্রিস্টানদের বলেছেন, তারা যেন ইরাক ছেড়ে না যান। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে। আগের অবস্থা ফিরে পাওয়ার রাস্তা হয়তো অনেক লম্বা। তবু পোপের আবেদন, ''হতাশ হবেন না। ক্ষমা করার মনোভাব খুবই জরুরি। আর হাল ছেড়ে দেবেন না।''

মোসুলে পোপ ওল্ড সিটি ঘুরে দেখেন। সেখানে ধ্বসস্তূপে পরিণত হওয়া বাড়ি, চার্চ ঘুরে দেখেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই শহর আইএসের অধিকারে ছিল। ইরাকি বাহিনীকে এই শহর পুনরুদ্ধার করতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়। তখন প্রচুর চার্চ, মসজিদ ধ্বংস হয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ''এই দেশে অতীতে সভ্যতার বিকাশ হয়েছিল। সেখানে এই ধরনের বর্বরোচিত কাজ মেনে নেয়া যায় না। মুসলিম, খ্রিস্টান, ইয়াজদি ও অন্যরা মারা গেছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন, তাদের উপাসনাস্থল ধ্বংস হয়েছে।'' পোপ বলেছেন, ''আজ আমি বলতে পারি, সৌভ্রাতৃত্বের প্রতি দায়বদ্ধতা বেড়েছে। এটাও মানুষ বুঝেছে, যুদ্ধ ও ধ্বংসের থেকে শান্তি অনেক বেশি কাম্য।''

পোপের আবেদন

ইরাক সহ মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টানদের কাছে পোপের আবেদন, তারা যেন নিজেদের জায়গায় থাকেন। ছেড়ে চলে না যান।

ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি ওয়েন হোল্ডঅ্যাওয়ে জানিয়েছেন,  বিশেষ করে উত্তর ইরাকের কথা মাথায় রেখে তিনি এই আবেদন করেছেন। এখানে আইএসের হাতে খ্রিস্টানরা অত্যাচারিত হয়েছেন।

পোপ বলেছেন, ইরাকের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে খ্রিস্টানরা অনেকে চলে গেছেন। এর ফলে ওই এলাকায় যারা থাকলেন, তাদের এবং সমাজের প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। 

আইএসের আক্রমণের ফলে উত্তর ইরাকের হাজার হাজার খ্রিস্টান পালাতে বাধ্য হয়েছেন। আগে ইরাকে চার লাখ খ্রিস্টান ছিলেন। ২০১৩ সালে সেটা কমে দাঁড়ায় দেড় লাখে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)