1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্দোনেশিয়ায় মৃত্যু হাজার ছাড়িয়েছে

২ অক্টোবর ২০১৮

সুলাওয়েসি দ্বীপে ধ্বংসস্তূপ যত পরিষ্কার করা হচ্ছে, উদ্ধার হচ্ছে মরদেহ, বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা৷ মঙ্গলবার দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা জানিয়েছে, এখন এ সংখ্যা পৌঁছেছে ১,২৩৪ জনে৷

https://p.dw.com/p/35qz0
Erdbeben und Tsunami in Indonesien
ছবি: AFP/Getty Images/J. Samad

সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরুও নুগ্রোহো জানিয়েছেন, এখনো উদ্ধারকাজ পুরোপুরি শেষ হতে অনেক সময় লাগবে৷ ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে গুরুতর আহত ৭৯৯ জন এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি৷

তাছাড়া সিগি ও বালারোয়া অঞ্চলে মৃত্যুর সংখ্যা এখনো গণনা করা হয়নি৷ ফলে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে৷ শুক্রবার ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালীর পর সুনামি আঘাত হানে সুলাওয়েসি দ্বীপে৷ এরপর থেকে এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে অনেক এলাকা৷

উদ্ধারকাজ যাতে আরো দ্রুত শেষ করা যায়, সেজন্য অন্যান্য এলাকা থেকে আরো বেশি সংখ্যক উদ্ধারকর্মীকে সুলাওয়েসি দ্বীপে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো৷ পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকেও এরই মধ্যে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট৷

বাড়ছে বিক্ষোভ

পালুতে সহজে পৌঁছানো গেলেও দ্বীপের ডোঙ্গালা ও অন্য অনেক এলাকায় এখনও ঠিকমতো উদ্ধারকাজ চালাতে পারছে না সরকার৷ ত্রাণ, খাবার, ওষুধ, জ্বালানির সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে৷

ডোঙ্গালার প্রশাসনিক প্রধান কাসমান লাসা জানিয়েছেন, কোথাও খাবার পাচ্ছে না মানুষ৷ স্থানীয় এক টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাকারে তিনি বলেন, ‘‘সবাই খুব ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে৷ কয়েকদিন ধরে না খেয়ে দিন কাটানোর পর তাঁরা পেট ভরে খেতে চায়৷ আমরা কিছু খাবার সরবরাহের চেষ্টা করছি, কিন্তু তা মোটেও যথেষ্ট নয়৷''

এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর ক্ষুব্ধ জনতাকে আটকে রাখা মুশকিল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করেন লাসা৷ এরই মধ্যে অনেক জায়গায় লুটতরাজের খবর জানাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম৷ জরুরি চাহিদা দ্রুত মেটানো না গেলে বিক্ষুব্ধ মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশংকা লাসার৷

সুনামির পর থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে পুরো দ্বীপ৷ বন্ধ হয়ে গেছে গ্যাস স্টেশনও৷ অনেককেই দেখা গেছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্টেশনগুলো থেকে নিজেরাই বিকল্প উপায়ে জ্বালানি সংগ্রহ করছেন৷

পালুর রাস্তা জুড়ে এখন শুধু ‘আমাদের খাবার লাগবে', ‘সাহায্য চাই' লেখা ব্যানার-প্ল্যাকার্ডের ছড়াছড়ি৷

আন্তর্জাতিক সহায়তা

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সহায়তা নেয়ার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট উইদোদো৷ এই মুহূর্তে জেনারেটর, উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় ভারি যন্ত্রপাতি এবং তাঁবুকেই সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে৷

 

ইন্দোনেশিয়ার দুর্দিনে সহায়তার হাত বাড়িয়েছেইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়াও চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ১০টি দেশ৷

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানিয়েছেন, তাঁর সরকার এরই মধ্যে দুর্গতদের সহায়তায় সাড়ে তিন লাখ ডলারের ত্রাণ ইন্দোনেশিয়াকে দিয়েছে৷ আরো ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন মরিসন৷

এডিকে/এসিবি (এপি, রয়টার্স)