ইন্দোনেশিয়ার ‘টয়লেট ক্যাফে’
জাতিসংঘের হিসেবে, ইন্দোনেশিয়ায় প্রতি চারজনের একজন এখনও প্রকাশ্যে মলত্যাগ করেন৷ এ ব্যাপারে ইন্দোনেশীয়দের সচেতন করতে অভিনব এক উপায় বেছে নিয়েছেন এক ব্যক্তি৷
বিশ্বে দ্বিতীয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ-এর এক যৌথ প্রতিবেদন বলছে, ইন্দোনেশিয়ার প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ খোলা জায়গায় মলত্যাগ করে থাকেন৷ অর্থাৎ প্রতি চারজনের একজন৷ প্রকাশ্যে মলত্যাগকারীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বে সবার উপরে আছে ভারত, তারপরেই ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
অভিনব উদ্যোগ
প্রকাশ্যে মলত্যাগ বিষয়টি স্বাস্থ্যসম্মত নয়৷ তাই টয়লেট ব্যবহারে সবাইকে সচেতন করতে দেশটির এক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বুডি লাকসোনো ‘টয়লেট ক্যাফে’ চালু করেছেন৷ নাম ‘জামবান ক্যাফে’৷ ইন্দোনেশীয় শব্দ ‘জামবান’-এর অর্থ টয়লেট৷
এপ্রিলে চালু
জাভা দ্বীপের সেমারাং এলাকায় চলতি বছরের এপ্রিলে ক্যাফেটি চালু হয়৷ ছবিতেই দেখতে পাচ্ছেন, কোথায় খাবার পরিবেশন করা হয়েছে আর কোথায় বসে ক্রেতারা খাওয়া দাওয়া করেন৷
তবে এটিই প্রথম নয়
ইন্দোনেশিয়ার আগে তাইওয়ান ও রাশিয়াতে টয়লেট ক্যাফে চালু হয়েছে৷ ছবিতে রাশিয়ার ক্যাফেটি দেখতে পাচ্ছেন৷ তবে পার্থক্য হচ্ছে, ঐ দুই দেশে অভিনব ডিজাইনের কথা বিবেচনা করে ওরকম ক্যাফে চালু হয়েছে৷ আর ইন্দোনেশিয়ারটি চালু হয়েছে জনগণকে সচেতন করতে৷
ক্রেতাদের ভাবনা
২৭ বছরের মুকুদাস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘প্রথমে এই ব্যাপারটায় আমি দারুণ বিরক্ত ছিলাম৷ তবে কৌতূহলের কারণে শেষ পর্যন্ত কিছু খাবার খেয়েছি৷ আমার মনে হয়, প্রচারণা সফল করতে এই পরিকল্পনাটি দারুণ৷’’ ১৫ বছরের আনিশা বলেন, ‘‘ক্যাফের মালিক আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, যে খাবার স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিষ্কার উপায়ে রান্না করা হয়েছে৷’’
সমালোচনা
জামবান ক্যাফের মালিক লাকসোনো জানিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার অনেক মানুষের যে এখনও টয়লেট নেই এই ক্যাফের মাধ্যমে সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে৷ তবে কেউ কেউ যে এই ক্যাফেকে ইসলামি আইনের পরিপন্থি ও অনুপোযোগী বলে এর সমালোচনা করছেন সেই বিষয়টিও জানিয়েছেন তিনি৷