1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফুডি, ফুডপর্ন, সুপারফুড...

১৪ জুলাই ২০১৭

খাবার তো শুধু খাবার নয়, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার মতো জিনিস৷ তাই কাফে বা রেস্টুরেন্টে খাবার সার্ভ করার আগে ভেবে দেখতে হবে, মোবাইলে তোলা ফটোয় ভালো দেখাবে তো?

https://p.dw.com/p/2gVma
ছবি: DW/A. Dluzak

হানি লেমন চিকেন বা একটি সবুজ ‘স্মুদি-বোল’৷ ইনস্টাগ্রামে দেখলে জিভে জল আসতে বাধ্য৷ সুন্দর করে সাজানো খাবারদাবারের ছবি এখন ইন্টারনেটে একটা ট্রেন্ড৷

একটি প্রিয় বিষয়বস্তু হল বিভিন্ন ধরনের ‘বোল’ অর্থাৎ বাটি, যাতে নানা রঙের শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদি সাজানো রয়েছে৷ মিউনিখের ‘ড্যাডি লংলেগস’ কাফে-তে এ সব খাবারদাবার বসেও খাওয়া যায়৷ স্বাস্থ্যকর অথচ সুদৃশ্য খাবার হলো এই কাফের সাফল্যের চাবিকাঠি৷ মারেন ভাইস তিন বছর আগে কাফেটি খোলেন৷

ফুডি, ফুডপর্ন, সুপারফুড...

মারেন বলেন, ‘‘আমাদের গ্রাহকরা চান যে, ‘বোল’-গুলো এতো সুন্দর দেখতে হবে যে, সে সব ছবি যেন ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা যায়৷ সেজন্য অনেকে আবার আলাদা করে নানা সুন্দর দেখতে ‘টপিং’ অর্ডার করেন৷ দেখেশুনে আমার মনে হয়, খাবারদাবার যেন মিডিয়ায় চর্চা করার মতো ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷’’

কাফের মেনুতে ‘স্মুদি’ আর ‘বোল’-এর কোনো অভাব নেই – সৌখিন, শহুরে যুব জনতা যা পছন্দ করে৷ এক্ষেত্রে আমের পাশে স্ট্রবেরিই সবচেয়ে বেশি শোভা পায়৷ অথবা কচি পালং-এর সঙ্গে সরু করে কাটা গাজর৷ শুধু স্বাদই নয়, চোখেরও ভালো লাগা চাই; তাই ভালোভাবে সাজানো দরকার৷

‘ড্যাডি লংলেগস’-এর মিরিয়াম প্যোটিশ বলেন, ‘‘আমরা স্বভাবতই একটু সাজিয়ে-গুছিয়ে পরিবেশন করতে চাই৷ কলার টুকরোগুলো সঠিক দূরত্বে সুন্দর করে পাখার মতো ছড়িয়ে দেওয়া যায়৷ সারি করে সাজিয়ে দেওয়াটাও ভালো৷ এক কথায়, সামঞ্জস্যের একটা বড় ভূমিকা থাকে৷’’

‘ফুডপর্ন’

শুধু বড় বড় হোটেলেই যে খাবার সাজিয়ে, সুন্দর করে পরিবেশন করা হয়, এমন নয়৷ ছোট ছোট কাফে আর রেস্টুরেন্টের খদ্দেররাও আজকাল এই সব নান্দনিক ব্যাপারস্যাপার বোঝেন ও কামনা করেন৷ এই প্রবণতার পিছনে রয়েছে ‘ফুডপর্ন’ নামের একটি হ্যাশট্যাগ, যা দিয়ে ‘ফুডি’, অর্থাৎ খাবারদাবার বা ‘ফুড’-এর অনুরাগীরা ইনস্টাগ্রামে পরস্পরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করেন৷

ফুডিদের মধ্যে তারকার কোনো অভাব নেই৷ বার্লিনের পাউলিনে বসডর্ফের মোট আড়াই লাখ ফলোয়ার আছে৷ ‘লিভিং দ্য হেল্দি চয়েস' ব্লগের রচয়িতা পাউলিনে বলেন, ‘‘আমি যখন রাঁধি আর কোনো শুটিং-এর জন্য খাবার তৈরি করি, তখন পরে যে ছবিগুলো তোলা হবে, সেগুলোর কথা ভাবি নিশ্চয়৷’’

২২ বছর বয়সের ফুড-ব্লগার পাউলিনে তাঁর কুকবুক আর স্পন্সরিং থেকে অর্থোপার্জন করেন৷ সহজ কাজ নয়৷ দেখে বুঝতে পারা চাই যে, খাবারটা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর – যা অনেক পরিশ্রমের কাজ৷ বিশেষ করে যদি একটা সাধারণ অ্যাস্পারাগাস আর শসার স্যালাডকে বুটের ডাল দিয়ে ‘মার্গীয়’ করে তুলতে হয়!

আলেক্সান্ডার দ্লুজাক/এসি