1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইদলিবের নতুন আতঙ্ক করোনা ভাইরাস

৩১ মার্চ ২০২০

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ইদলিব ধ্বংসস্তুপের নগরী৷ কোথাও সাবান নেই, অনেক কষ্টে মেলে সামান্য পানি৷ গোলার আঘাতে গুঁড়িয়ে যাওয়া নগরীতে কোয়ারান্টিনের জায়গাও নেই৷

https://p.dw.com/p/3aEvq
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Alkharboutli

এ অবস্থ‍ায় করোনা ভাইরাস সেখানে নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে এক নারী স্থানীয়দের শিক্ষা দেওয়ার  চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস এখনো সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে পৌঁছায়নি৷ অন্তত আনুষ্ঠানিক হিসাব মতে৷ যদিও ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে৷ সিরিয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশটিতে পাঁচজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছে৷ কিন্তু প্রকৃত অবস্থা কী সেটা সবারই অজানা৷

ইদলিবে যুদ্ধবিরতি চলছে৷ গত কয়েক সপ্তাহে সেখানকার মানুষ বাশার আল-আসাদ বাহিনী বা তাদের মিত্র রুশ বাহিনীর বোমা হামলার আতঙ্কে নয় বরং করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন৷

ইদলিব সিরীয় বিদ্রোহীদের শক্তঘাঁটি ছিল৷ গতবছর ডিসেম্বরে আসাদ বাহিনী সেখানে আক্রমণ করলে নগরীর ১০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে৷ যারা এখন নানা অস্থায়ী ক্যাম্পে বসবাস করছেন৷ ক্যাম্পগুলোতে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে থাকেন, খান, ঘুমান৷ সেখানে বারবার হাত ধোয়া বা দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব৷ কোয়ারান্টিনের তো প্রশ্নই আসে না৷

ইদলিবে নারীদের সহযোগিতা ও কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করছেন হুদা খাইতি৷ তিনি কোভিড-১৯ রোগের বিষয়ে সচেতনতা কমিটিরও প্রধান৷

তিনি বলেন, ‘‘আমি কিভাবে এদের বলি আপনারা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন৷ তারা ভাগ্য ভালো থাকতে পরিষ্কার পানি পায়৷ হাজারো মানুষের জন্য মাত্র কয়েকটি টয়লেট৷ ‍মাস্ক, গ্লাভস কিচ্ছু নেই৷’’

খাইতি ২০১৮ সালে ইদলিব আসেন৷ তখন নগরীটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল৷ তখন থেকে তিনি ও তাঁর দল নারীদের নানা বিষয়ে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছেন৷ তবে এখন সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছেন করোনা ভাইরাসের বিষয়ে নারীদের সচেতন করার কাজে৷

তিনি বলেন, ‘‘করোনায় সংক্রমিত হলে কী কী উপসর্গ দেখা দেবে সেটা তাদের বলছি৷ আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও সচেতন করছি৷ যদিও এখানে খুব কম লোকের মাস্ক কেনার সামর্থ্য আছে৷’’

বছরের পর বছর ধরে যুদ্ধ করে ইদলিবের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে৷ শুধু ২০১৯ সালেই সেনা অভিযানের সময় সেখানে ৮৫টি হাসপাতাল গু‍ড়িয়ে দেওয়া হয়৷ মেডিকো ইন্টারন্যাশনালের সিরিয়া বিষয়ে সমন্বয়ক তিল কুস্তা বলেন, সেখানে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষের জন্য এখন মাত্র তিনটি হাসপাতাল আছে৷ তার মধ্যে একটি পুরোপুরি চালু৷ সেখানে নিবীড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে ১৫০ শয্যা এবং একই সংখ্যায় ভেন্টিলেটর আছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷

ডায়ানা হোদালি/এসএনএল 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য