ইদলিব: মানব বিপর্যয়ের ভয়াবহ গল্প
হাঁড় কাঁপানো শীতে খোলা আকাশের নীচে মরছে শিশু৷ বিজয় নিশ্চিত করতে একসময় বিদ্রোহীদের শক্তঘাঁটি ইদলিবের ৩০ লাখ মানুষকে তিলে তিলে মারছে আসাদ বাহিনী৷
অসহায় শিশু
পূর্ণ বিজয় নিশ্চিত করতে রাশিয়ার সহায়তায় আসাদ বাহিনী ফেব্রুয়ারিতে ইদলিবে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে, যার সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে শিশুরা৷
নয় লাখ বাস্তুহারা
ইদলিবে গত তিন মাসে প্রায় নয় লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে৷ শুধু ফ্রেব্রুয়ারিতেই বাস্তুহারা হয়েছে তিন লাখ মানুষ৷
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে
প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়াদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷ তুরস্ক সীমান্তের কাছে তুষার ঢাকা পাহাড়ি এলাকায় নানা অস্থায়ী ক্যাম্পে তারা আশ্রয় নিয়েছে৷ সেখানে তাপমাত্রা মাইনাস সাতের নীচে নেমে যাচ্ছে৷ প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিশেষ করে শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে৷
সমরযানের দীর্ঘ সারি
তুরস্ক সমর্থন দিচ্ছে বিদ্রোহীদের আর রাশিয়া সমর্থিত সিরীয় বাহিনী বিদ্রোহীদের শেষ ঘাঁটি ইদলিব দখলে ফেব্রুয়ারি থেকে মরিয়া৷ আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চেষ্টাও ভেস্তে যাচ্ছে৷
এম৫ মহাসড়ক
গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী আলেপ্পোর সঙ্গে ইদলিবকে জুড়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরে এটির দখল নিতে চাইছে সিরীয় বাহিনী৷ গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার বোমারু বিমানের সহায়তায় মহাসড়কটিসহ ইদলিবের প্রায় পুরোটাই দখলে নিয়েছে তারা৷
রাশিয়ার বোমা হামলা
শরণার্থী ক্যাম্প, হাসপাতাল বা স্কুল- কোনো বাছবিচার না করেই রুশ বিমান হামলা চালাচ্ছে৷ জাতিসংঘ জানায়, গত দেড় মাসে ইদলিবে প্রায় তিনশ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে৷ তাদের ৯৩ শতাংশকে হত্যা করেছে আসাদ বাহিনী ও তাদের মিত্ররা৷
জঙ্গিদের পাল্টা হামলা
ইদলিবে জঙ্গিদের পাল্টা হামলাও চলছে৷ সেগুলোর বেশিরভাগের শিকারও ওই সাধারণ মানুষ৷
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দিশেহারা মানুষ
বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েও সাধারণ মানুষ প্রাণ রক্ষা করতে পারছে না৷ কারণ, শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতেও হামলা হচ্ছে৷ অনেক পরিবার রাস্তাতেই থাকছে৷
ফাঁদে বন্দি মানুষ
প্রায় ৩৫ লাখ সিরীয় শারণার্থী আগে থেকেই তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে৷ ওই বোঝা আর বাড়াতে রাজি নয় তুরস্ক সরকার৷ তাই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফলে ইদলিবের সাধারণ মানুষদের আশ্রয়ের কোনো জায়গা নেই৷