ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ, পালাচ্ছেন টিগ্রের বাসিন্দারা
ইথিওপিয়ায় গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে দেশটির টিগ্রে অঞ্চল ছেড়ে পালাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা৷ অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন সুদান-ইথিওপিয়া সীমান্তে৷
উম-রাকোবা শিবিরে শরণার্থীদের ভিড়
ইথিওপিয়ার টিগ্রে অঞ্চলে চলমান লড়াই থেকে বাঁচতে দেশটির সঙ্গে সুদানের সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক শরণার্থী৷ গতকাল তোলা ছবিতে এক মাকে তার সন্তানদেরসহ দেখা যাচ্ছে৷
সক্রিয় ইউএনএইচসিআর
ইথিওপীয় শরণার্থীদের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর এক সদস্য৷ টিগ্রেতে গত তিন সপ্তাহ ধরে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) লড়াই চলছে৷ টিপিএলএফ কার্যত ১৯৯১ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ইথিওপিয়া শাসন করেছিল৷ তবে, ২০১৮ সালে আবি আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে যায়৷
সেটিট নদী পার হয়ে শিবিরে
টিগ্রে থেকে পালিয়ে আসা ইথিওপীয়রা সেটিট নদী পার হওয়ার পর নৌকা থেকে নিজেদের মালামাল তুলে নিচ্ছেন৷ টিগ্রেতে সংঘাত শুরুর পর অন্তত চল্লিশ হাজার মানুষ এলাকা ছাড়া হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷
নারী ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে
দুই পক্ষের সংঘাতে নারী ও শিশুদের ভোগান্তিও চরমে পৌঁছেছে৷ জাতিসংঘ সেখানে আন্তর্জাতিক আইনে লঙ্ঘন ঘটছে বলে সতর্ক করেছে৷
বাসে করে শরণার্থীদের পরিবহন
টিগ্রে থেকে পালানো ইথিওপীয়দের একটি বাসে করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ সংঘর্ষরত দুই পক্ষের মধ্যে শিগগিরই শান্তি ফেরার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
শান্তিতে নোবেল, দেশে অশান্তি
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ গতবছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন৷ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বৈরি সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে শান্তি স্থাপনে সক্ষম হওয়ায় তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়৷ তবে, দেশটির বর্তমান অশান্তি পরিস্থিতি নিরসনে তিনি যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারছেন না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷