ইডাই-এর আঘাতগ্রস্ত মোজাম্বিকানদের সবশেষ
সাইক্লোন ইডাই-এর আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোজাম্বিকের বেশ কিছু অঞ্চল৷ আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তায় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা৷
টিকে থাকার চেষ্টা
সাইক্লোন ইডাই-এর ফলে সৃষ্ট বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল মোজাম্বিকের গ্রুডজা গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িঘর৷ এ সময় ঘরের চালে বা গাছের ডালে ঝুলে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে গেছেন তাঁরা৷
নেই স্বাস্থ্য সেবা
ইডাই-এর আঘাতে ভেঙ্গে পড়েছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবাও৷ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দল এ মুহূর্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেবা দেওয়ার৷
বন্ধ স্কুলঘর
ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয়রা আশ্রয় নিয়েছিলেন স্কুলগুলোতে৷ তবে স্কুলগুলো যে এ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেয়েছিল তা কিন্তু নয়৷ দুর্যোগের প্রায় দুই মাস পরও বন্ধ আছে অনেক স্কুল-কলেজ৷
নিঁখোজ অনেকেই
ঝড়ের কবল থেকে বাঁচতে, গ্রুডজা গ্রামের বাসিন্দা রেজিনা তাঁর স্বামী ও পাঁচ সন্তানসহ গাছের ডালে আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ কিন্তু ঢেউয়ের স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে তাঁর সন্তানদের৷ খোঁজ মেলেনি এখনো৷
ঝুঁকিতে খাদ্য নিরাপত্তা
সাইক্লোন ইডাই ধ্বংস করেছে ফসলাদিও৷ এদিকে বন্যার পানি এখনো পুরোপেরি নামেনি, যে কারণে এই মুহূর্তে ফসল ফলানোর জন্যও প্রস্তুত নয় জমিগুলো৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইডাই-এর আঘাতের কারণে দেশটির সাত লাখ ৫০ হাজার লোকের জন্য খাদ্য সরবরাহ প্রয়োজন হবে৷
কৃষিবীজ সহায়তা
নতুন করে ফসল ফলানো শুরু করতে চান বাসিন্দারা৷ তবে প্রয়োজন সহযোগীতা৷ আর এ সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা৷ দেশটির গোন্ডোলা জেলার কাফুম্পের একটি স্কুলে কৃষকদের মাঝে ফসলের বীজ বিতরণ করছে দাতব্য সংস্থাগুলো৷
চলছে পুনঃনির্মাণ কাজ
বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে পুনঃনির্মাণকাজ৷ দেশটির শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পুনঃনির্মাণ শুরু হয়েছে৷ তবে গ্রামাঞ্চলগুলোতে ধ্বংসের মাত্রা বেশ ভয়াবহ৷ পুরোপেরি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কিছু গ্রাম৷