ইটালিতে ইরানি নারী শিল্পীর প্রথম প্রদর্শনী
শিল্পচর্চার জগতে ইতিহাস গড়লেন ইরানের শিল্পী ফারনাজ দামনাবি ৷ মিলানের এক বিখ্যাত গ্যালারিতে নিজের ছবির প্রদর্শনী শুরু করে হয়ে গেলেন ইটালিতে একক চিত্র প্রদর্শনী করা প্রথম ইরানি নারী৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
নারীর ক্যামেরায় ইরানের নারীজীবন
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানের নারীরাই সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত৷ সে দেশে নারীদের শিক্ষার হার ৮০%-এরও বেশি৷ ফারনাজ দামনাবি থাকেন রাজধানী তেহরানে৷ নিজের শহরের নারীদের ছবি বেশ সহজে তোলা যেতো৷ তবে সাধারণ নারীদের জীবন কাছ থেকে দেখতে ফারনাজ দামনাবি চষে বেড়িয়েছেন প্রায় পুরো দেশ৷ ওপরে মিলানের প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ফারনাজ দামনাবির দুটি ছবি৷
নারীশক্তি
২৯ বছর বয়সি এই আলোকচিত্রী ছবিগুলো তুলেছেন তেহরান থেকে ৯১০ কিলোমিটার দূরের মাশাদ শহরে গিয়ে৷ মাহসা আমিনি হত্যা এবং সেই হত্যাকে ঘিরে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের আগে তোলা এসব ছবিতে উঠে এসেছে ইরানের নারীদের আটপৌরে জীবনের অনেক মুহূর্ত৷ উঠে এসেছে পুরুষশাসিত ভয়ঙ্কর রক্ষণশীল এক সমাজের নারীদের মজ্জাগত দৃঢ়তা, শক্তিমত্তার কিছু দিক৷
ফারনাজের চোখে নারী যেমন
ইরানের নারীরা হিজাব পরেন৷ না পরলে শাস্তি পেতে হয় তাদের৷ শরিয়ত অনুযায়ী পোশাক পরেননি- এ অভিযোগেই ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মাহশা আমিনিকে৷ নীতি পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ৷ ২২ বছর বয়সি মাহশার করুণ এ জীবনাবসানের প্রতিবাদে ফেটে পড়েন ইরানের নারীরা৷ ফারনাজ দামনাবির মুখেও শোনা গেল নারীশক্তির প্রশংসা, ‘‘আমি মনে করি, অনেক বিষয়েই খুব একটা দেখা না গেলেও নারীরা কিন্তু খুব ক্ষমতাধর এবং সাহসী৷’’
আলোকচিত্রীর প্রশংসা
ফারনাজের ছবির প্রদর্শনী হচ্ছে মিলানের ’২৯ আর্টস ইন প্রোগ্রেস’ গ্যালারিতে৷ গ্যালারির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং অন্যতম পরিচালক লুকা কাসুলি ফারনাজের ছবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘ওর কিছু ছবি আমাদের খুব ভাবিয়েছে, সেগুলো এমন সব স্ন্যাপশট যা হয়ত খুব কম মানুষই তুলতে পারতো৷’’
আধুনিকা
ইরানের শিল্পী ফারনাজ কিন্তু পোশাক নির্বাচনে মোটেই রক্ষণশীল নন৷ তার হাস্যোজ্জ্বল এ ছবিও তার প্রমান৷