ইচ্ছা থাকলে স্বাস্থ্য হয়
বেইজিংয়ের এই জিমে গেলে দেখা যাবে কয়েকজন ‘বডিবিল্ডার’ মরচে ধরা নানা উপকরণ নিয়ে শরীর চর্চায় ভীষণ ব্যস্ত৷ স্বাস্থ্যসচেতন এই ষাটোর্ধরা প্রমাণ করেছেন স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ইচ্ছাশক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
ছিল সাইকেল গ্যারেজ, হয়ে গেল জিম
৩৬ বছর আগে বেইজিংয়ের এই জিমটা ছিল সাইকেল গ্যারেজ৷ ষাটোর্ধ এক সফল ক্রীড়াবিদের মনে হলো স্থানীয়দের স্বাস্থ্যরক্ষার্থে সাইকেল গ্যারেজটাকেই বানাতে হবে জিম৷ যেই ভাবনা সেই কাজ, রেলওয়ে ওয়াগন থেকে ভাঙাচোরা লোহালক্কর এনে বানানো হলো শরীর চর্চার বিভিন্ন সরঞ্জাম৷ ব্যস, চালু হয়ে গেল জিম৷ ছবিতে সেই জিমেই ৬৩ বছর বয়সের শরীরের পেশি দেখাচ্ছেন সু ওয়াই৷
হাতে তৈরি সরঞ্জাম
সাবেক এই সাইকেল গ্যারেজে কোনো জানালা নেই৷ জানালা নতুন করে লাগানোর পরিকল্পনাও আপাতত নেই কারো৷ হাতে তৈরি সব সরঞ্জাম দিয়ে স্বাস্থ্যটা ভালো রাখতে পারলেই তো হলো!
উদ্যোগ একজনের, উপকার সবার
১৯৮৪ সালে জিমটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯৫৬ সালে দূরপাল্লার দৌড়ে সোনা জেতা ঝ্যাং ওয়েই৷ ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সিরাও তখন এই জিমের সদস্য হয়েছেন৷ তাদের প্রত্যেকের বয়সই এখন ষাটের ঘরে৷
‘নিষিদ্ধ’ কাজে...
এক সময় বডিবিল্ডিং নিষিদ্ধ করেছিল চীন সরকার৷ সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরই সাইকেল গ্যারেজে জিম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন ঝ্যাং৷ ছবিতে শরীর চর্চায় ব্যস্ত ৬১ বছর বয়সি ঝাও শুয়ান৷
এক সময়ের ‘বুর্জোয়াদের খেলা’
চীনের কমিউনিস্ট সরকার ‘বুর্জোয়াদের খেলা’, ‘নার্সিসিস্টদের খেলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সারা দেশে বডিবিল্ডিং নিষিদ্ধ করেছিল৷ সেই খেলাতে এখন দিনমান ডুবে থাকেন ষাটোর্ধরাও৷
সামনে সংকট
এখন সারা দেশেই গড়ে উঠেছে নতুন নতুন জিম৷ সব জিমেই রয়েছে আধুনিক সরঞ্জাম৷ রেলওয়ে গোডাউনের মরচে ধরা জিনিসের তৈরি সরঞ্জাম নিয়ে এই জিম কতদিন টিকে থাকতে পারবে কে জানে!
ঘরোয়া পরিবেশ
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও পুরোনো সদস্যদের কাছে এই জিম নিজের ঘরের মতো৷ তাই এখানে সবাই একা আসেন না৷ পরিবারের অনেক সদস্যও আসেন সঙ্গে৷ পোষা প্রাণীও সঙ্গে আনেন কেউ কেউ৷ ছবিতে নিজের পোষা পাখিদের নিয়ে বাড়ি ফিরছেন একজন৷
‘ত্রিমূর্তি’
তিন ষাটোর্ধ এক সঙ্গে শরীর চর্চায় ব্যস্ত৷
তেষট্টিতেও তরুণ
শরীরের পেশি সুগঠিত রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত ঝ্যাং উ-কে দেখে কে বলবে বয়স ৬৩ পেরিয়েছে!
দাবা-বিরতি
শরীর চর্চার ফাঁকে চাইলে কেউ একটু দাবাও খেলে নিতে পারেন৷