1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইকুয়াটোরিয়াল গিনিতে বিস্ফোরণ, মৃত বহু

৮ মার্চ ২০২১

সেনাবাহিনীর গুদামে বিস্ফোরক ছিল। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।

https://p.dw.com/p/3qKh2
বিস্ফোরণ
ছবি: TVGE/AP Photo/picture alliance

ইকুয়াটোরিয়াল গিনির শহর বাটায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মৃতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে দেশের প্রশাসন জানিয়েছে, বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত অসংখ্য।

ইকুয়াটোরিয়াল গিনির সবচেয়ে বড় শহর বাটা। রোববার সেখানে একের পর এক বিস্ফোরণ হতে শুরু করে। এখানেই দেশের সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটি আছে। বিস্ফোরণ সেখানেই হয়। প্রশাসনের দাবি, অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। সকলকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কীভাবে বিস্ফোরণ

দেশের প্রেসিডেন্ট টেওডরো ওবিয়াং জাতীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, অবহেলার কারণেই বিস্ফোরণ হয়েছে। তার দাবি, সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে ডিনামাইট মজুত করা ছিল। অবহেলায় পড়েছিল সেই বিস্ফোরকগুলি। আচমকা তা থেকেই বিস্ফোরণ হয়। একের পর এক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা শহর। কিন্তু ডিনামাইটের স্তূপে কীভাবে আগুন লাগল। কীভাবে বিস্ফোরণ হলো। কারা এর জন্য দায়ী, এ সব কিছুই জানাননি প্রেসিডেন্ট। সেনাবাহিনীর তরফেও কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

১৯৭৯ সাল থেকে গিনির প্রেসিডেন্ট ওবিয়াং। ৭৮ বছরের ওবিয়াং দেশের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। নিজের কাকাকে ক্ষমতাচ্যূত করে প্রেসিডেন্টের পদ দখল করেছিলেন তিনি। সংবাদসংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০০ জন আহত। তবে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৪২০ জন। স্থানীয় টেলিভিশনে দেখা গেছে, শয়ে শয়ে মানুষ রাস্তায় নেমে ধ্বংসের স্তূপ থেকে আহতদের উদ্ধার করছেন। পিক আপ ট্রাকে করে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলি ভরে গিয়েছে আহতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলকে রক্ত দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কারণ, আহতদের অনেককেই রক্ত দিতে হচ্ছে।

বিস্ফোরণস্থলে সমস্ত বাড়ি ভেঙে গেছে। দু'একটি দেওয়াল কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে। লোহার স্ট্রাকচারও ভেঙে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক গুণ বেশি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)