ইউসেইন বোল্ট, যেন গ্রিক কিংবদন্তির হার্মেস
হার্মেস ছিলেন ব্যবসা-বাণিজ্যের দেবতা, দেবলোক আর মর্ত্যলোকের মধ্যে যাওয়া-আসা ছিল তাঁর৷ আর ছিল ক্ষিপ্র গতি, যে কারণে তাঁর পায়ে পাখনা লাগানো ছিল, শিরস্ত্রাণেও৷ অধুনা হার্মেস হলেন জামাইকা’র ইউসেইন বোল্ট৷
বোল্ট মানে বিদ্যুৎ
বেইজিং-এর জাতীয় ক্রীড়াঙ্গণ, ২৯শে আগস্ট, ২০১৫৷ বিশ্ব অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষদের চারবার একশো মিটার রিলে ফাইনালে দলীয় সতীর্থের হাত থেকে ব্যাটন নিচ্ছেন ইউসেইন বোল্ট৷
এক ধাক্কায় কুপোকাত
বেইজিং, ২৭শে আগস্ট৷ দু’চাকার সেজওয়ে বাহিত এক জাপানি ক্যামেরাম্যানের ধাক্কায় ডিগবাজি খেলেন ইউসেইন বোল্ট৷ এর ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিন ও বাদবাকি দৌড়বিদদের পিছনে ফেলে ২০০ মিটারে সোনা জেতেন ইউসেইন বোল্ট, ক্যারিয়ারের দশম সোনা৷ তার পরেই পতন! বেচারি জাপানি ক্যামেরাম্যান বোল্ট-এর ভিক্টরি ল্যাপের ভিডিও তুলছিলেন৷
জেতার আগের মুহূর্তে...
পুরুষদের ২০০ মিটার ফাইনালে ফিনিশিং লাইনের দিকে উড়ে যাচ্ছেন ইউসেইন বোল্ট৷ মনে রাখতে হবে, বোল্ট-এর উচ্চতা হলো ছ’ফুট পাঁচ ইঞ্চি৷
দুশো’ও যা, একশো’ও তা
বেইজিং, ২৩শে আগস্ট, আইএএএফ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দিনে পুরুষদের ১০০ মিটার দৌড়ে জিততে চলেছেন ইউসেইন বোল্ট৷ অবশ্য জাস্টিন গ্যাটলিন টাল না খেলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াত, বলা যায় না৷
হাঁটি হাঁটি পা পা
ইউসেইন বোল্ট অনেক কিছুই বলে থাকেন সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে৷ যেমন একশো মিটার দৌড়ের হিটস শুরু হবার আগে৷ কি বোঝাচ্ছেন বোল্ট? নাকি মনে মনে নিজের দৌড়টা পরিকল্পনা করে নিচ্ছেন?
তীরন্দাজ
হাল আমলের হার্মেস ইউসেইন বোল্ট-এর পায়ে পাখনা না থাকলেও, তাঁর এই স্বভাবসিদ্ধ মুদ্রাটি আগামী বিশ্ব মনে রাখবে৷ একশো মিটারে জেতার পর বেইজিং-এও ট্র্যাকের ওপর দাঁড়িয়ে তীরন্দাজের ভঙ্গি করছেন বোল্ট৷
স্টার পাওয়ার
বেইজিং-এও ফ্যান, অর্থাৎ অনুরাগীদের কোনো অভাব ছিল না ইউসেইন বোল্ট-এর৷ এটাও একশো মিটার জেতার পরের ছবি৷ ‘বোল্ট নাম্বার ওয়ান’ লেখা শালুটি ফ্যানরাই সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন - লেখাটি সত্য প্রমাণ করলেন ইউসেইন বোল্ট৷