1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের সামনে আবার নতুন সংকট

১১ মে ২০২২

উত্তর আয়ারল্যান্ডকে ঘিরে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্নায়ুযুদ্ধ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ একতরফা পদক্ষেপ সম্পর্কে ব্রিটেনকে সতর্ক করে দিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তিতে রদবদলের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ইইউ৷

https://p.dw.com/p/4B7JZ
Nordirland Vizepräsidentin der Sinn Fein Michelle O'Neill
ছবি: Paul Faith/AFP

প্রথমে করোনা সংকট, তারপর ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা৷ রাশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে গিয়ে জ্বালানি ও কাচামাল সংকট – একের পর এক ধাক্কার মুখে ইউরোপ যখন পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন নতুন এক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ব্রেক্সিটকে ঘিরে ব্রিটেনের সঙ্গে নতুন সংঘাত৷ সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিট চুক্তির অন্তর্গত নর্থার্ন আয়ারল্যান্ড প্রোটোকলের অংশবিশেষ পুরোপুরি বাতিল করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, এমন সম্ভাবনা আর উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷

উত্তর আয়ারল্যান্ড ও ব্রিটেনের মূল ভূখণ্ডের মধ্যে শুল্ক সীমা কার্যকর করতে গিয়ে বাস্তব সমস্যার দোহাই দিয়ে ব্রিটেন সেই ব্যবস্থায় রদবদল করতে চায়৷ ইইউ সেই দাবি না মানলে চুক্তি ভাঙার হুমকি দিচ্ছে ব্রিটেন৷ শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কা সত্য হলে ব্রিটেনের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ানো কঠিন হবে৷

ইইউ ব্রিটেনকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে দীর্ঘ টালবাহানার পর দুই পক্ষের সম্মতি নিয়ে স্বাক্ষরিত ব্রেক্সিট চুক্তিতে কোনো রদবদল আদৌ সম্ভব নয়৷ সেই কাঠামোর শর্ত অমান্য না করে কোনো ব্যবস্থা সম্ভব হলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে৷ তবে ব্রিটেন একতরফাভাবে চুক্তিভঙ্গ করলে সে দেশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে ব্রাসেলস৷ আয়ারল্যান্ড, জার্মানি ও ইইউ একতরফা পদক্ষেপ সম্পর্কে ব্রিটেনকে সতর্ক করে দিয়েছে৷ ইইউ-র মধ্যস্থতাকারী মারশ শেফচোভিচ এক বিবৃতিতে ব্রিটেনের উদ্দেশ্যে চুক্তি লঙ্ঘন না করেই ‘সৃজনশীল সমাধানসূত্র' খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন৷

ইইউ-র প্রত্যাশিত কড়া অবস্থানের মুখে ব্রিটেন উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি বজায় রাখতে যাবতীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে৷ সেইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাবারও আশ্বাস দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার৷ জনসনের এক মুখপাত্র বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি৷

ব্রেক্সিট চুক্তির অন্তর্গত নর্থার্ন আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল লঙ্ঘন করা হলে ইউরোপের বুকে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি হবার আশঙ্কা রয়েছে৷ আইরিশ প্রজাতন্ত্র ও ব্রিটেনের উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের মধ্যে নাজুক শান্তি নষ্ট হলে আবার সশস্ত্র সংগ্রামের অশনি সংকেত দেখা যেতে পারে৷ উত্তর আয়ারল্যান্ডের সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর সরকার গড়ার ক্ষেত্রে অচলাবস্থা সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে৷ ইইউ-পন্থি ক্যাথলিক দল শিন ফেন বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয়লাভ করেও জোট সরকার গড়তে পারছে না৷ কারণ ব্রিটেনপন্থি প্রোটেস্টান্ট ডিইউপি দল নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল বাতিল করার দাবি না মানলে সরকারে যোগ দিতে অস্বীকার করছে৷ ১৯৯৮ সালের শান্তি চুক্তি অনুযায়ী সরকারে দুই পক্ষেরই প্রতিনিধিত্ব আবশ্যিক৷

শিন ফেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের সব মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে সমর্থ হয়েছে৷ তবে আপাতত সুশাসনের অ্যাজোন্ডা সামনে রাখলেও দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হিসেবে আইরিশ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে পুনরেকত্রিকরণ চায় এই দল৷ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড প্রোটোকলের ফলে ব্রিটিশ ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর আয়ারল্যান্ড প্রদেশের সমুদ্র সীমা এবং আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে উন্মুক্ত স্থল সীমানা সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে বলে এই দল মনে করে৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য