1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের সাংসদদের ‘কেনা’ যায়!

২৩ এপ্রিল ২০১৮

ইউরোপের ৪৭টি দেশের সাংসদদের সমন্বয়ে গঠিত একটি সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক কয়েক সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ ও সুবিধা গ্রহণের বিনিময়ে ‘বিক্রি' হওয়ার অভিযোগ করেছে স্বাধীন তদন্তকারীদের একটি দল৷

https://p.dw.com/p/2wUgt
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger

ঘুস হিসেবে ঐ সাংসদরা ক্যাভিয়ার, কার্পেট এবং অভিজাত হোটেলে থাকার সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে৷

মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিয়ে কাজ করা ‘কাউন্সিল অফ ইউরোপ-’এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসংস্থা ‘পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অফ দ্য কাউন্সিল অফ ইউরোপ' পিএসিই বা পেস-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে৷ পেস-এর সদস্যসংখ্যা ৩২৪৷ কাউন্সিল অফ ইউরোপের ৪৭ সদস্যরাষ্ট্রের সংসদ পেস-এর সদস্যদের নির্বাচন করে থাকে৷ কাউন্সিল অফ ইউরোপ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে৷

পেস-এর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন সদস্য সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে আজারবাইজানের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সুর নরম করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ঐ দেশটিতে রাজনৈতিক বন্দিদের অবস্থা নিয়ে ২০১৩ সালে তৈরি হওয়া এক প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন অভিযুক্ত ঐ সাংসদরা৷

বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল ২০০ পৃষ্ঠার ঐ প্রতিবেদন তৈরি করে৷ এর মধ্যে দু'জন বিচারক ‘ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটস’ বা ইসিএইচআর-এর সদস্য ছিলেন৷ উল্লেখ্য, পেস-এর সদস্যরাই ইসিএইচআর-এর সদস্যদের নির্বাচন করেন৷

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘তদন্তে পাওয়া গেছে যে, আজারবাইজান নিয়ে কাজ করা পেস-এর বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন সদস্য পেস-এর নৈতিক অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন৷’’

প্রতিবেদন সম্পর্কে পেস-এর সভাপতি মিশেল নিকোলেত্তি সাংবাদিকদের জানান, পেস-এর একটি কমিটি অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে এবং এই সময়ে অভিযুক্ত সাংসদদের তাঁদের কাজ স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে৷

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল গতবছর আজারবাইজানের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে ইউরোপীয় বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছিল৷ ‘‘এটি খুবই দুঃখজনক যে, পেস-এর মতো একটি সম্মানজনক সংস্থার কয়েকজন রাজনীতিবিদ বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত এবং অর্থের বিনিময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখতে ইচ্ছুক,’’ বলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান জোসে উগাজ৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)