1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপের বুকেও রয়েছে শেরপা!

২ জানুয়ারি ২০২০

উপজাতি হিসেবে নেপালেই শেরপাদের দেখা গেলেও কঠিন পরিশ্রম, অসাধারণ জীবনীশক্তির কারণে ‘শেরপা' শব্দটি অন্য ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা হচ্ছে৷ স্লোভাকিয়ায় একদল মানুষ নিজেদের শেরপা হিসেবে গণ্য করেন৷

https://p.dw.com/p/3VbJb
Phoenix 9820 Europas letzte Sherpas
ছবি: Phoenix

ইউরোপের শেষ শেরপারা প্রথাবিরোধী এক প্রতিযোগিতায় শামিল হয়েছেন৷ পিঠে ৬০ কিলো ওজন নিয়ে ৫০ জন পুরুষ প্রায় ছয় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে স্লোভাকিয়ার টাটরা পর্বতে উঠছেন৷ কার্পেথিয়ান শ্রেণির সবচেয়ে উঁচু অংশ সেটি৷

শেরপা শব্দটি শুনলে হিমালয়ে মালপত্র বহনকারী উপজাতি সম্প্রদায়ের কথা মনে হয়৷ হাই টাট্রা পর্বতের এই পুরুষরাও নিজেদের শেরপা বলেন৷

স্টেফান বাকর প্রতিদিন খাদ্য, পানীয় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাহাড়ের উপরে বিভিন্ন কুটিরে বয়ে নিয়ে যান৷ বছরে দু'বার টাটরা-র শেরপারা এক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন৷ তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে দ্রুত পাহাড়ে উঠতে পারে? স্টেফান মনে করেন, ‘‘ব্যাপারটা তেমন কিছু নয়, পুরোটাই মানসিক বিষয়৷ সত্যি কিছু কঠিন মুহূর্ত, কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় বটে৷ কিন্তু সেইসঙ্গে শেরপাদের ঠিক সময়ে ভালোভাবে কাজ শেষ করার গর্বও মনের মধ্যে কাজ করে৷''

ইউরোপের শেষ শেরপাদের গ্রাম

পাহাড়ের উপরের গন্তব্যে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ যারা খুব দ্রুত পাহাড় চলতে পারেন, তাঁদের এক ঘণ্টা বিশ মিনিট সময় লাগে৷ স্টেফান বাকর অবশ্য প্রতিযোগিতার বদলে শেরপাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে বেশি আগ্রহী৷ তিনি বলেন, ‘‘অনেক বছর ধরে শেরপার কাজ করে চলেছি৷ ইতোমধ্যে এটা আমার কাছে শুধু শারীরিক কসরতের বিষয় নয়, বরং মানসিক স্তরে নির্মল এক অনুভূতি হয়৷ নীচে উপত্যকায় থাকলে এমন ভাবনা আসতেই পারে না৷ সে কারণে এই সব তরুণদের এবং পাহাড়ি কুটিরগুলির সঙ্গে যোগাযোগ আমার কাছে অত্যন্ত জরুরি৷ আমি এই গোষ্ঠীর অংশ হতে চাই৷''

স্টেফান সাধারণত একাই হেঁটে পাহাড়ি কুটিরে যান৷ দিনে সর্বোচ্চ তিন বার যাতায়াত করেন তিনি৷ স্টারি স্মোকোভেটস-এর বেস ক্যাম্পে তিনি প্রয়োজনীয় রসদ বেঁধে প্রস্তুত হন৷ কাঁধের উপর একশো কিলো পর্যন্ত মালপত্র বইতে পারেন তিনি৷ স্টেফান বাকর মনে করেন, শেরপা হওয়া ঠিক পেশা নয়, বরং এক জীবনদর্শন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আমি ইউরোপের শেষ শেরপাদের একজন৷ আমার সঙ্গে টাটরার সুন্দর পাহাড়, রোমাঞ্চকর উপত্যকা ও পাহাড়ি কুটিরগুলি ঘুরে দেখার জন্য আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি৷ ‘‘আমরা ‘হাই টাটরা' জাতীয় পার্কে রয়েছে৷ মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে এটাই সবচেয়ে পুরানো ও সবচেয়ে বড় জাতীয় পার্ক৷ ইউনেস্কো স্বীকৃত এই বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভে এখনো নির্মল প্রকৃতির স্বাদ পাওয়া যায়৷ অসাধারণ জায়গা৷ পৃথিবীর এই প্রান্তে বসবাস করার সুযোগ আমি খুব উপভোগ করি৷''

শেরপার কাজ সবসময়ে এমন মনোরম হয় না৷ তবে ইউরোপের শেষ শেরপারা প্রতিনিয়ত পাহাড় চড়ছেন৷

গেয়ারহার্ড সনলাইটনার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য