1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে বছরে ৩৩ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় সুপারবাগ

৬ নভেম্বর ২০১৮

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া বা সুপারবাগের কারণে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রাণ হারাচ্ছে ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ৷ নতুন একটি গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভয়াবহ৷

https://p.dw.com/p/37ir0
Neues Bakterium entdeckt MCR-1 Antibiotikaresistenz
ছবি: Imago/Science Photo Library

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে গ্রিস আর ইটালিতে সুপারবাগ সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি৷ ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ইসিডিসি'র এই গবেষণা ল্যানসেট জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে৷ গবেষকরা বলছেন, এই সুপারবাগ হলো এইচআইভি, ফ্লু এবং যক্ষার মিলিত রূপ৷ গবেষকরা লিখেছেন, ‘‘বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড় আঘাত হেনেছে সুপারবাগ৷ ২০০৭ সাল থেকে এর প্রকোপ বেড়ে চলেছে, কেননা, এর আগে পর্যন্ত সুপারবাগে বছরে ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হতো৷''

সুপারবাগের সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে থাকে নবজাতক এবং বয়স্করা৷ তিন চতুর্থাংশ সংক্রমণ ঘটে হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে৷

ইসিডিসি গবেষণায় ২০১৫ সালের তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং এ থেকে গবেষকরা পাঁচ ধরনের সংক্রমণের খোঁজ পেয়েছেন৷ গ্রিস আর ইটালিতে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি, অন্যদিকে ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে সংক্রমণের হার সবচেয়ে কম৷ জার্মানিতে প্রতি বছর সুপারবাগে অন্তত ৫৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়৷ এর মধ্যে মারা যায় অন্তত আড়াই হাজার মানুষ৷ 

স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা সুপারবাগ সংক্রমণ নিয়ে বহু আগে থেকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন৷ তাঁদের ধারণা, মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের ফলে এই সংক্রমণ বাড়ছে৷ রয়টার্সে প্রকাশিত ইসিডিসি'র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘যখন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না, তখন এই সংক্রমণকে মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে৷''

এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য