1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপীয় মূল্যবোধ রক্ষা করতে পারবে ইইউ?

১১ ডিসেম্বর ২০২০

হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডে গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল হওয়ার প্রেক্ষিতে বাজেটের ক্ষেত্রে ইইউ মৌলিক মূল্যবোধকে পূর্বশর্ত করতে সক্ষম হলো৷ কিন্তু ঐকমত্যের স্বার্থে বিষয়টি ইউরোপীয় আদালতের হাতে তুলে দিতে হলো৷

https://p.dw.com/p/3mYl0
ইইউ সম্মেলন
ছবি: Olivier Matthys/Pool/REUTERS

ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২৭টি দেশের জোট চালু রাখা যে সহজ নয়, অতীতেও তা বার বার স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাধারণ মৌলিক মূল্যবোধও যে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে, হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের চরম জাতীয়তাবাদী সরকারের আচরণ তা দেখিয়ে দিলো৷ এই দুই দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ায় ইইউ ভবিষ্যৎ দীর্ঘমেয়াদী বাজেটের ক্ষেত্রে আইনি শাসনের বিষয়টি শর্ত হিসেবে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ কিন্তু হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের সরকার ভেটো প্রয়োগ করে ৭৫,০০০ কোটি ইউরোর বাজেট ও এক লাখ আশি হাজার কোটি ইউরো অঙ্কের করোনা সংকটের মোকাবিলায় জরুরি তহবিলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছিল৷ বৃহস্পতিবার বছরের শেষ ইইউ সম্মেলনে সেই সংকট মেটানো সম্ভব হয়েছে৷

হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের আপত্তি দূর করতে ইইউ আইনি শাসনের শর্ত কতটা শিথিল করেছে, তা এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ তবে ইইউর বর্তমান সভাপতি দেশ জার্মানির মধ্যস্থতায় আপোশ মেনে নিয়েছে এই দুই দেশ৷ সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-র সূত্র অনুযায়ী নতুন কাঠামোর আওতায় আইনের শাসনের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে সহজে বরাদ্দ অর্থ আটকে রাখা যাবে না৷ এমন অভিযোগের মুখে কোনো দেশ ইউরোপীয় আদালতের কাছে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে৷ ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস অভিযোগ মেনে নিলে তবেই ইইউ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারবে৷

এমন আপোশের ফলে আইনি শাসনের শর্ত ভাঙার অভিযোগ প্রমাণ করতে অনেক সময় লাগবে৷ ফলে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের মতো দেশ হাতে কিছুটা সময় পাবে৷ এই মুহূর্তে করোনা সংকটের অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলানো বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ফলে সব দেশই প্রাপ্য অর্থের নাগাল পেতে উদগ্রীব হয়ে আছে৷ আপোশ সম্ভব হওয়ায় সব পক্ষই আপাতত স্বস্তি প্রকাশ করেছে৷ ইইউ সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেল এই বোঝাপড়ার খবর জানানোর পর ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন স্বাগত জানিয়ে টুইট করেন৷

শুক্রবার ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তির আগে আনুষ্ঠানিকভাবে সব সদস্য দেশ এই বোঝাপড়া মেনে নেবে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ আইনের শাসন সংক্রান্ত শর্ত দুর্বল করার বদলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট করার ফলে কিছু দেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে৷ অন্যদিকে এমন অভিযোগের মুখে ইউরোপীয় আদালতে দীর্ঘ শুনানির সম্ভাবনার বিষয়টি অনেকে পছন্দ করছে না৷ প্রায় দুই বছর পর্যন্ত দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর ইইউ কমিশনের পক্ষেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে৷ হাঙ্গেরির ক্ষেত্রে এখনই এমন অভিযোগ আনলে ২০২২ সালে সে দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে বিষয়টির ফয়সালা হবে না৷ ইইউ কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা ইয়ুরোভা অবশ্য আরো দ্রুত সিদ্ধান্তের আশা প্রকাশ করেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)