ইউরো খেলছেন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত যে ফুটবলাররা
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ‘উয়েফা ইউরো ২০২০’৷ ইউরোপের ২৪টি দেশ এতে অংশ নিচ্ছে৷ তবে এসব দেশে আছেন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কয়েকজন ফুটবলার৷ ছবিঘরে থাকছে তাদের কথা৷
কিলিয়ান এমবাপে (ফ্রান্স)
ফ্রান্স দলে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত বেশ কয়েকজন ফুটবলার আছেন৷ তাদের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছেন এমবাপে৷ ২২ বছর বয়সি এমবাপের জন্ম প্যারিসে৷ তবে তার বাবা ক্যামেরুন ও মা আলজেরিয়ার৷ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত অন্য ফুটবলাররা হচ্ছেন পাউল পগবা (গিনি), এনগোলো কান্তে ও মুসা সিসোকো (মালি), ডেম্বেলে (আইভরিকোস্ট) ও করিম বেনজেমা (আলজেরিয়া)৷
রোমেলু লুকাকু (বেলজিয়াম)
বেলজিয়ামের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা লুকাকুর বাবা-মার জন্ম ডিআর কঙ্গোতে৷ ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল বেলজিয়াম৷ লুকাকু করেছিলেন চার গোল৷ বেলজিয়াম দলে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত অন্য ফুটবলাররা হলেন মিশি বাচুয়াই ও ক্রিস্টিয়ান বেনটেকে (ডিআর কঙ্গো) ও জেরেমি ডকু (ঘানা)৷
আন্টোনিও রুডিগার (জার্মানি)
১৯৯০-এর দশকে সিয়েরা লিওনের গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে রুডিগারের পরিবার বার্লিনে এসেছিল৷ এছাড়া লেরয় সানের বাবার জন্ম সেনেগালে, গ্নাবরির বাবা আইভরিকোস্টের ও জামাল মুসিয়ালার বাবা এসেছেন নাইজেরিয়া থেকে৷
ডাভিড আলাবা (অস্ট্রিয়া)
বাবার জন্মভূমি হিসেবে নাইজেরিয়ার হয়েও খেলতে পারতেন আলাবা৷ তবে জাতীয় দল হিসেবে নিজ জন্মভূমিকেই বেছে নিয়েছেন এই ডিফেন্ডার৷ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত অন্য ফুটবলাররা হচ্ছেন ভালেন্টিনো লাজারো (বাবা অ্যাঙ্গোলার) ও করিম ওনিসিয়ো (বাবা নাইজেরিয়ার)৷
ব্রেল এমবোলো (সুইজারল্যান্ড)
এমবোলোর (ডানে) জন্ম ক্যামেরুনে৷ ছয় বছরের এমবোলো ও আরেক সন্তানকে নিয়ে তার মা সুইজারল্যান্ডে পাড়ি জমিয়েছিলেন৷ এছাড়া সুইজারল্যান্ড দলের অন্য আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফুটবলাররা হলেন ডেনিস জাকারিয়া (বাবা ডিআর কঙ্গোর, মা সুদানের) ও কেভিন এমবাবু (মা ডিআর কঙ্গোর)৷
মেম্ফিস ডেপায় (নেদারল্যান্ডস)
ডেপায়ের বাবা এসেছেন ঘানা থেকে৷ তিনি যখন ছোট ছিলেন তখন তার বাবা তাদের পরিবার ছেড়ে চলে যায়৷ তাই প্রায়ই জার্সিতে প্রথম নাম ব্যবহার করেন মেম্ফিস ডেপায়৷ নেদারল্যান্ডস দলে আরেক আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফুটবলার নেথান আকে৷
উইলিয়াম কারভালিয়ু (পর্তুগাল)
অ্যাঙ্গোলায় জন্ম নেয়া ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কারভালিয়ু ইতিমধ্যে পর্তুগালের হয়ে ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন৷ শিশু বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে পর্তুগাল চলে যান৷ গিনিবিসাউতে জন্ম নেয়া ডানিলো পেরেইরাও আছেন পর্তুগাল দলে৷
আলেক্সান্ডা ইসাক (সুইডেন)
স্ট্রাইকার ইসাকের বাবা-মা এসেছেন ইরিত্রিয়া থেকে৷ একসময় জার্মানির বুন্ডেসলিগা ক্লাব মাইনৎসে খেলা ইসাকের এখনকার ক্লাব স্পেনের রেয়াল সোসিয়েডাড৷ রবিন কুয়াইসন (বাবা ঘানার) ও কেন সেমাও (বাবা-মা ডিআর কঙ্গোর) আছেন সুইডেন দলে৷
গ্লেন কামারা (ফিনল্যান্ড)
সবশেষ মৌসুমে স্কটিশ ক্লাব ব়্যাঞ্জার্সের হয়ে স্কটিশ লিগ জিতেছেন এই মিডফিল্ডার৷ তার মা-বাবা সিয়েরা লিওন থেকে এসেছেন৷ তবে কামারার জন্ম ফিনল্যান্ডে৷
বুকায়ো সাকা (ইংল্যান্ড)
১৯ বছর বয়সি সাকার মা-বাবা নাইজেরিয়া থেকে ইংল্যান্ড গেছেন৷ নাইজেরিয়া তাকে দলে পেতে চাইলেও তিনি ইংল্যান্ডকে বেছে নেন৷