ইউরোভিশনে জয়ী এমিলি
‘আমরা সবাই এক’ স্লোগান নিয়ে সুইডেনের মালমো’তে বসেছিল ইউরোভিশন সং কনটেস্ট৷ প্রতিযোগিতায় এবার সুর ও সংগীতে বৈচিত্র ছিল৷ তবে শনিবার রাতে সবার শেষে হাসি ফুটেছে ডেনমার্কের এমিলির মুখে৷
এবং বিজয়ী হচ্ছেন...
ফাইনালের বহু আগে থেকেই ডেনমার্কের এমিলি ডে ফরেস্ট ‘ফেভারিট’ হিসেবে আলোচনায় ছিলেন৷ ইউরোভিশন যদিও অপ্রত্যাশিত ফলাফলের জন্য বিখ্যাত, তা সত্ত্বেও এবার জয়টা এমিলিই পেয়েছেন৷ তাঁর ‘ওনলি টিয়ারড্রপস’ অবশেষে জয় করেছে ইউরোভিশন৷
নিষ্প্রভ জার্মানি
চকচক করলেই সোনা হয় না - ইউরোভিশনে জার্মানির ব্যান্ড কাসকাডা আরেকবার প্রমাণ করলো সেকথা৷ ইউরোভিশনে তাদের পরিবেশনার সঙ্গে আলোকসজ্জা ও সুরের দারুণ মিশ্রণ দেখা গেছে বটে, কিন্তু তা দর্শককে টানতে পারেনি৷ তাই নাটালে হোরলার ও তাঁর সঙ্গীদের ভাগ্যে জুটেছে ২১তম স্থান৷
আজারবাইজান এখনো শক্তিশালী
মাত্র দু’বছর আগে ইউরোভিশন ঘরে তুলেছিল আজারবাইজান৷ মালমোতে এবার তারা জয় করেছে দ্বিতীয় স্থান৷ আজারবাইজানের প্রতিনিধির নাম ফরিদ মামাডোভ৷
কলঙ্কের সন্ধানে
ম্যাডোনা ও ব্রিটনি স্পিয়ার্স এক আমলে মঞ্চে যা করেছিলেন, ফিনিশ সংগীত শিল্পী ক্রিস্টা সিগফ্রিড এবার আলোড়ন তুলেছেন ঠিক সেই কাজ করে৷ মঞ্চে এক নারী নর্তকীকে চুমু দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর ‘ম্যারি মি’ গানটি সম্ভবত এই চুমুর জন্যই একটু বেশি আলোচিত হয়েছে৷
সুন্দরী ও দানব?
ইউক্রেনের সুন্দরী জেলাটা ওগেনিভিচ মঞ্চে আসেন এক ‘দানব’ এর কোলে চড়ে৷ ভাইকিং পরিচ্ছেদে মঞ্চে আসা এই ব্যক্তির উচ্চতা ২.৫৮ মিটার৷
ইউরোভিশনের নেশা
মালমোর চমৎকার পরিবেশে বনি টাইলার’এর পক্ষে চেঁচাচ্ছিলেন এই ব্রিটিশ ভক্তরা৷ ২০১৩ সালের সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিল্পীদের মধ্যে টাইলারের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতেই পারে৷ এখন ৬১ বছর বয়সে তাঁর গলায় খানিকটা পরিবর্তন হয়ত এসেছে, কিন্তু সেই সত্তর বা আশির দশকের টাইলারের কথা মনে করে দেখুন৷ জনপ্রিয়তা তাঁকে ছুয়েছে বহুবার৷
একটি ডাচ গাথা
আনুক তাঁর নরম কিন্তু গতিময় সংগীতের কারণে ইউরোভিশনের আগেই বেশ পরিচিতি পান৷ তাঁর ‘বার্ডস’ শীর্ষক রহস্যময়, করুণ রসের গানটি অনেকেই দীর্ঘদিন মনে রাখবেন৷
মলদোভার জ্বলে ওঠা
ইউরোভিশনের মঞ্চে আলিওনা মুন’এর পোশাক সবার নজর কাড়ে৷ ‘ও মিয়ে’ গানটির সঙ্গে সঙ্গে মুনের সুদীর্ঘ পোশাকেও বিভিন্ন পরিবর্তন আসতে থাকে৷
একই গানে জুতো এবং প্রেম?
লিথুনিয়ার আন্দ্রেয়ুস পোজাভিস তাঁর ‘সামথিং’ গানটিতে গেয়েছেন: ‘আমি এই সুন্দর গ্রীষ্মের দিনে দু’পায়ে দু’টি জুতে পরে৷ একটির নাম প্রেম, অন্যটির নাম বেদনা৷’
রোমানিয়ার রক্তচোষা বাদুড়
ইউরোভিশনের মঞ্চে নজর কাড়তে অনেকেই অনেকরকম খেল দেখানোর চেষ্টা করেন৷ তবে সফল হন কম প্রতিযোগীই৷ রোমানিয়ার সেজার এবার মঞ্চে আসেন অস্বাভাবিক সুর আর রক্তচোষা বাদুড়ের পোশাকে৷ বলাবাহুল্য, তাঁর এই কৌশল দর্শকের নজর কেড়েছে৷ চূড়ান্ত বিজয় না আসলেও আলোচনায় তিনিও ছিলেন৷