ইউরোপে যেভাবে কার্নিভাল উদযাপন করা হয়
ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলো সাধারণত বেপরোয়া এবং রঙিন হয়, তবে দেশভেদে এ সবের ধরনও ভিন্ন হয়৷ এখানে থাকছে ইউরোপে কার্নিভাল উদযাপনের নানা ধরনের ছবি:
টেনেরিফা ‘হট’ উৎসব
স্প্যানের টেনেরিফা দ্বীপের আবহাওয়া ইউরোপের তুলনায় একটু গরম৷ ফলে শীতের সময়ে সেখানের পরিবেশ থাকে অনেকটা বসন্তের মতো৷ কার্নিভালে তাই গুরুত্ব পায় কম কাপড়ের পোশাক৷ ল্যাটিন অ্যামেরিকার মতো এখানকার প্যারেডেও ‘সাম্বা’ নাচ বড় আকর্ষণ৷
ময়দা মেখে কার্নিভাল উদযাপন
স্পেনের লা পালমা দ্বীপে কার্নিভালের সময় বাতাসে ময়দা ছড়িয়ে দেয়া হয়, যা কার্নিভালে আসা মানুষদের গায়ে এসে লাগে৷ আসলে এ ঐতিহ্য এসেছে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ থেকে৷ এখন অবশ্য শুধু লা পালমাতেই এমনটা দেখা যায়৷ সেখানে মিহি গুড়া চিনি সমৃদ্ধির প্রতীক৷ তবে কার্নিভালের সময় চিনির বদলে ময়দা ব্যবহার করা হয়৷
নিস শহরে দেয়া হয় ফুল
জার্মানিতে কার্নিভাল প্যারেড থেকে সাধারণত দর্শকদের উদ্দেশ্যে চকোলেট ছোঁড়া হয়৷ আর কখনও কখনও গোলাপ৷ কিন্তু দক্ষিণ ফ্রান্সের নিস শহরে ফুল ছোড়াটাই রীতি৷ গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, লিলি, ড্যাফোডিল – নানারকম ফুল৷ সেই ১৮৭৬ সাল থেকে চলে আসছে এই ধারা৷
ইউনিফর্ম পরে নাচানাচি
জার্মানির কার্নিভাল ক্লাবগুলোর এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইউনিফর্ম পরা নর্তকীরা৷ কোলনে তারা স্লোগান দেয় ‘আলাফ’, ডুসেলডর্ফে ‘হেলাউ’৷ আর প্যারেড থেকে দর্শককের উদ্দেশ্যে যখন চকোলেট ছুড়ে দেয়া হয়, তখন সকলে সেই চকোলেট কুড়াতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে৷ আর চিৎকার করতে থাকে ‘কামেলে, কামেলে...’৷
মাইনৎস উৎসবে বড় মাথা
জার্মানির ফ্রাংকফুর্টের অদূরে অবস্থিত মাইনৎস শহর৷ মাইনৎসে সেই ষোড়শ শতক থেকে উদযাপন হচ্ছে কার্নিভাল৷ সেখানকার কার্নিভাল প্যারেডের এক অপরিহার্য অংশ অস্বাভাবিক আকারের মানুষের ব্যঙ্গচিত্র৷ এদের মাথা হয় বেঢপ বড় এবং এক একটি মাথা ওজন হয় প্রায় ২৫ কিলো৷
শান্তিপূর্ণ উদযাপন
রঙিন পোশাকের মতো চুমুও জার্মানিতে কার্নিভালের একটি অংশ৷ কার্নিভাল শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘কার্নিস’ ও ‘লিভারে’ থেকে, যার অর্থ ‘মাংস’ এবং ‘নিয়ে যাওয়া’৷ কার্নিভালের শেষে একটি বিশেষ বুধবারে খ্রিষ্টানদের ‘লেন্ট’ শুর হয়৷ অর্থাৎ এ সময় থেকে ‘ইস্টার’ পর্যন্ত বহু খ্রিষ্টান নিজেদের প্রিয় খাওয়ার বা মিষ্টি বর্জন করে৷