ইউরোপ-অ্যামেরিকায় ‘মনোলিথ’: কে গড়ছে, কে ভাঙছে?
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপ আর অ্যামেরিকায় হঠাৎ দেখা যেতে শুরু করেছে প্রায় একই আদলের কিছু মনোলিথ৷ সোজা আকাশের দিকে উঠে যাওয়া স্তম্ভগুলো নিয়ে দানা বাঁধছে অনেক রহস্য৷ দেখুন ছবিঘরে...
যুক্তরাষ্ট্রে আবির্ভাব
প্রথম মনোলিথটি দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা রাজ্যের মোয়াব অঞ্চলের লাল পাথরের পাহাড়ে, সপ্তাহ দুয়েক আগে৷ নানা ধরনের কথা ছড়িয়ে পড়লে স্তম্ভটি দেখতে অনেকেই ছুটে যান সেখানে৷
পরিবেশের স্বার্থে অপসারণ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পীর দাবি, মনোলিথটি তার তৈরি৷ মরু অঞ্চলের পাহাড়ে শত শত লোক হঠাৎ দেখা দেয়া স্তম্ভটি দেখতে সেখানে ভীড় জমাতে থাকায় পরিবেশের ক্ষতি এড়াতে স্থানীয়রা কয়েকদিনের মধ্যেই তা ভেঙে নিয়ে যান৷
রুমানিয়াতেও
ইউটার পর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া আর রুমানিয়ার নিয়াম্ট গ্রামের কাছের পাহাড়েও দেখা গেছে মনোলিথ৷ রুমানিয়ারটি চারদিন ছিল সেখানে৷ তারপর কে বা কারা যেন সেটা সরিয়ে নেয়৷ দৃশ্যত খুব অযত্নে গড়া শিল্পকর্মটি দেখে স্থানীয় এক সাংবাদিক রয়টার্সকে বলেন, ‘‘মনে হয় খুব বাজে কোনো ওয়েল্ডার এটা তৈরি করেছেন৷’’
উগ্র খ্রিস্টানদের প্রতিক্রিয়া
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের অ্যাটাসকাডেরো শহরের কাছের পাহাড়ের মনোলিথটি স্থানীয় কিছু তরুণ সরিয়ে নেয়৷ সেখানে ‘ক্রস’ বসিয়ে তারা ভিডিও-ও প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ ১০ ফুট উঁচু স্তম্ভটি সরিয়ে ফেলায় ক্ষুব্ধ হয়ে অ্যাটাসকাডেরোর মেয়র বলেন, ‘‘উদ্বেগে ভরা এ সময়ে মনোলিথটি আমাদের বেশ মজা দিয়েছিল৷’’ মেয়রের এ প্রতিক্রিয়ার পর মনোলিথটি আবার সেখানে ফিরে আসে!
এবার ব্রিটেনে
রবিবার ব্রিটেনের কম্পটন বিচের কাছের একটি মনোলিথ সবার নজর কাড়ে৷ প্রায় আট ফুট উঁচু এই স্তম্ভ দেখতেও শত শত মানুষ ভীড় করে৷