1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় আরো ২৫টি জায়গা

৩০ জুন ২০১১

এগুলো প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক – দুই দৃষ্টিকোণ থেকেই ইউনেস্কোর তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে৷ দক্ষিণ অ্যামেরিকা থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এই বিশেষ স্থানগুলো৷

https://p.dw.com/p/11m7A
The file picture dated June 19, 2002, shows a general view of Monte San Giorgio, center, on the southern shore of Lake Lugano, Switzerland. The Ticino region of Monte San Giorgio is famous for its abundance of well-preserved reptile and fish fossiles dating from the mid-Triassic period, around 240 million years ago. The area was listed by the UNESCO as a site of world cultural heritage Wednesday, July 2, 2003. Unesco will make its official announcement on Saturday, July 5. (AP Photo/ Keystone, Karl Mathis)
আল্পস পর্বতমালার পাশের প্রাগৈতিহাসিক অঞ্চলছবি: AP

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউনেস্কো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতির ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সক্ষম এমন জায়গাগুলো বেছে নিতে ব্যস্ত ছিল৷ নতুন ২৫টি স্থান যুক্ত হওয়ায় হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেল পৃথিবীর ১৫৩টি দেশের মোট ৯৩৬টি বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থান৷

নির্বাচিত নতুন স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলবর্তী নিংগালু কোস্ট৷ সমুদ্রের পার ঘেষে পাহাড় আর বিভিন্ন ধরণের গুহার কারণে জায়গাটি সহজেই তালিকায় উঠে আসে৷ এরপর রয়েছে কেনিয়ার গ্রেট রিফ্ট ভ্যালির লেক সিস্টেম এবং জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জ৷

এছাড়া আরো প্রায় ২১টি স্থান ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের জন্য বেছে নিয়েছে ইউনেস্কো৷ আল্পস পর্বতমালার আশপাশের প্রাগৈতিহাসিক বসতি সহ সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত প্রথম ও সপ্তম শতাব্দীর এক গুচ্ছ গ্রাম যেমন আছে এই তালিকায়, তেমনি রয়েছে বাউহাউজ শৈলীতে নির্মিত উত্তর জার্মানির ফাগুস জুতো তৈরির কারখানা৷ জর্ডানের ৭৪ হাজার হেক্টর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ওয়াদি রুম মরুভূমি সাংস্কৃতিক এবং প্রাকৃতিক – দুটি দিক থেকেই ইউনেস্কোর মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে৷

ইউনেস্কোর বিপন্ন হেরিটেজ সাইটের তালিকায় যুক্ত হয়েছে হন্ডুরাসের রেইন ফরেস্ট রিও প্লাতানো এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইন ফরেস্ট৷

ওদিকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তানজানিয়া তার সেরেঙ্গেটি ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে দিয়ে রাস্তা তৈরির যে পরিকল্পনা করছে তা পুনর্বিবেচনা করবে ঐ দেশ৷ এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রবল আপত্তি তুলেছিল ইউনেস্কো৷ প্রায় দুই লক্ষ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখির বসবাস এই পার্কে৷ হাজার হাজার অতিথি পাখি প্রতি বছর এখানে আসে৷ যদি পার্ক নষ্ট করে রাস্তা তৈরি করা হয় তাহলে বন্য প্রাণীকুল হুমকির মুখে পড়বে, তাতে কোন সন্দেহ নেই৷ তানজানিয়া যেন কোন অবস্থাতেই পার্ক নষ্ট করতে না পারে সে লক্ষ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে ইউনেস্কো৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক