1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পরীক্ষা করে দেখছে নরওয়ে

৩ ডিসেম্বর ২০১০

প্রধান নির্বাচন কমিশনার গতকাল পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন৷ এই খবরটি অধিকাংশ পত্রিকার প্রধান খবর হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/QOas
মুহাম্মদ ইউনূসছবি: picture-alliance / dpa

এর মধ্যে কালের কণ্ঠ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, দেশের মোট ৩১০টি পৌরসভার মধ্যে এবার ২৬৯টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ বাকি ৪১টির মধ্যে ২৪টিতে মামলা, সীমানা নির্ধারণ ও অন্যান্য জটিলতার কারণে নির্বাচন হবে না৷ আর ১৭টি পৌরসভার মেয়াদ এখনো উত্তীর্ণ হয়নি৷ প্রথম আলো বলছে, স্থানীয় নির্বাচন হলেও পৌরনির্বাচনে দলগতভাবেই অংশ নেবে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো৷ এছাড়া গতকাল পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় সাংবাদিকরা ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন৷ তবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন মার্চ-এপ্রিলে হবে বলে জানান তিনি৷

ড. ইউনূস

বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে তহবিল সরানোর অভিযোগ পরীক্ষা করে দেখছে নরওয়ে সরকার৷ দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়কমন্ত্রী এরিক সোলহেইম বিবিসিকে এই কথা জানিয়েছেন৷ বিবিসির দেয়া এই খবর প্রায় সব পত্রিকায় গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়েছে৷ এমনকি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার গতকাল এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ না করলেও আজ তা ছেপেছে৷ গতকাল খবরটি প্রকাশ না করার একটা কারণও ব্যাখ্যা করেছে ডেইলি স্টার৷ এদিকে, সমকাল বলছে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিয়ে সারা দেশেই বেশ আলোচনা হচ্ছে৷ অনেকে গ্রামীণফোনের মূল প্রতিষ্ঠান নরওয়ের টেলিনর ও ড. ইউনূসের মধ্যকার বিরোধের সঙ্গে এই ঘটনার একটা যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে সমকাল৷ এদিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি খবর দিয়েছে কালের কণ্ঠ ও যুগান্তর৷ তাদের পরিবেশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে, সিরাজগঞ্জে ঋণ খেলাপের অভিযোগে গণস্বাস্থ্য গ্রামীণ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালক মুহাম্মদ ইউনূস সহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ মামলাটি করেছে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সিরাজগঞ্জ শাখা৷

ইভ টিজিং

ইভ টিজিংয়ের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন' সংশোধনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছে সরকার৷ তাতে ইভ টিজিংয়ের মাধ্যমে যৌন হয়রানি করলে এক থেকে সাত বছর এবং নারী ও শিশুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হলে পাঁচ থেকে ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে৷ এছাড়া ইন্টারনেট, টেলিফোন, মোবাইল ফোন, এসএমএস বা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করে উত্ত্যক্ত করাকেও যৌন হয়রানি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ঐ খসড়ায়৷ কালের কণ্ঠের এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য৷

গ্রন্থনা: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই