1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ইউক্রেনের পরমাণুকেন্দ্রে আইএইএ-র প্রতিনিধিরা

২ সেপ্টেম্বর ২০২২

আইএইএ-এর প্রধান জানিয়েছেন, আপাতত সেখানে থাকবেন প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4GKwL
ইউক্রেন
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র পরিদর্শন করে বেরিয়ে যান ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জির এজেন্সির প্রধান রাফায়েল গ্রসি। এদিন সকালেই ১৪ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন গ্রসি। দুপুরে সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, আইএইএ-এর প্রতিনিধিরা আপাতত ওই পরমাণু কেন্দ্রেই থাকবেন। অন্তত পাঁচজন সেখানে আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করবেন তারা।

সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, আপাতত ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই প্রতিনিধিরা সেখানে থাকবেন। তবে তারপরেও তারা থাকার চেষ্টা করবেন।

এদিকে আইএইএ-এর সফরের মধ্যেই ইউক্রেন এবং রাশিয়া একে অপরকে দোষারোপ করে চলেছে। ঝাপোরিজ্ঝিয়া অঞ্চলে লড়াই তীব্র হয়েছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, আইএইএ-এর প্রতিনিধিরা যে রাস্তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তারা চেষ্টা করেছে প্রতিনিধিদের সমস্যায় ফেলতে। শুধু তা-ই নয়, পরমাণুকেন্দ্রের একেবারে কাছেও বোমাবর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাশিয়া অবশ্য এই দাবি মানতে চায়নি। তাদের পাল্টা দাবি, ইউক্রেন এই সুযোগ ব্যবহার করে রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চল পুনর্দখল করতে চাইছে। প্রতিনিধি দলের পিছন পিছন ইউক্রেনের একটি বাহিনী এলাকায় পৌঁছেছে বলে অভিযোগ। তারাই পরমাণু কেন্দ্রের কাছে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। বস্তুত, রাশিয়ার অভিযোগ, নিপ্রো নদী পেরিয়ে ইউক্রেনের সেনা তাদের অঞ্চলে ঢোকার চেষ্টা করছে। নিপ্রো নদীর একটি পার এখন রাশিয়ার দখলে। অন্যদিকটি ইউক্রেনের। নিপ্রো নদীর উপরের সেতু ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইউক্রেন।

গাড়ি বোমায় নিহত ‘পুটিনের মস্তিষ্কের’ মেয়ে

এদিন গ্রসি সাংবাদিকদের বলেছেন, ''ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রক্ষা করা সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। আমরা কোনোভাবেই এর কোনো ক্ষতি হতে দেবো না।'' বস্তুত, গ্রসির বক্তব্য, বিদ্যুৎকেন্দ্রে ছয়টি পরমাণু চুল্লির মধ্যে দুইটি বন্ধ আছে। বিস্ফোরণের পর একটি বন্ধ করা হয়েছিল। অন্যটি তার আগেই বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে বাকি চারটি চুল্লি ঠিক আছে। কোনোভাবেই যাতে ওই কেন্দ্রের ভিতর বিস্ফোরণ না হয়, আইএইএ তা নিশ্চিত করবে।

কালিনিনগ্রাদে পুটিন

বৃহস্পতিবার কালিনিনগ্রাদে একটি স্কুল পরিদর্শনে যান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন। সেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। আলোচনা করেছেন সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও। তবে বিশেষজ্ঞদের কাছে পুটিনের কালিনিনগ্রাদ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই অঞ্চল থেকে লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের সীমান্ত কাছে। বাল্টিক সাগরের ধারে ওই শহর কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের সীমান্তে প্রচুর সেনা মজুত করা হয়েছে। বাল্টিক সাগরেও সেনা মহড়া চলছে। এই পরিস্থিতিতে পুটিনের ওই এলাকায় যাওয়া বিশেষ বার্তাবহ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)